ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে র‌্যালি লিফলেট বিতরণ আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১ মার্চ ২০১৫

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে র‌্যালি লিফলেট বিতরণ আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে শনিবার পালিত হয়েছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। দিবসটি উপলক্ষে পালিত কর্মসূচীগুলোর মধ্যে ছিল র‌্যালি, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ডায়াবেটিস এমন এক রোগ, স্বাস্থ্য শিক্ষাই যার প্রধান চিকিৎসা। যথাযথ স্বাস্থ্য শিক্ষা পেলে একজন ডায়াবেটিক রোগী চিকিৎসকের ওপর নির্ভর না করে এ রোগ ভালভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। শতকরা ৭০ ভাগ ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য। ইচ্ছা থাকলেই তা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশে মহামারী আকারে ডায়াবেটিস ছড়িয়ে পড়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত একটি র‌্যালি হয়। আর বেলা সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বক্তব্য রাখেন ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি এ আর খান, মহাসচিব মোঃ সাইফউদ্দিন, বারডেমের মহাপরিচালক নাজমুন নাহার প্রমুখ। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে ডায়াবেটিস মহামারী আকার ধারণ করছে। ডায়াবেটিস যে হারে বাড়ছে তাতে আমাদের এখনই এ রোগ প্রতিরোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আর যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের সচেতন করে তুলতে হবে, যাতে তারা ডায়াবেটিসকে সুনিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মঠ জীবন নিশ্চিত করতে পারে। ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান বলেন, বর্তমানে যেসব রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডায়াবেটিস একটি ভয়াবহ রোগ। কায়িক পরিশ্রমের অভাব, মুটিয়ে যাওয়া, ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্যের অভ্যাস ইত্যাদি কারণে দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিসের কারণগুলো মানুষকে জানাতে হবে, সচেতন করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস ও শ্রম অভ্যাস সম্পর্কে ব্যাপক সচেতন থাকতে হবে।
×