ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অভিজিতের মরদেহ দেয়া হবে ঢাকা মেডিক্যালে

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অভিজিতের  মরদেহ  দেয়া হবে  ঢাকা  মেডিক্যালে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তমনা ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, যুক্তিবাদী তরুণ লেখক অভিজিৎ রায়ের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজকে দান করা হবে। এই সিদ্ধান্ত পারিবারিক ভাবে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এর আগে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অজয় রায়ের পুত্র অভিজিৎ রায়ের মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ১ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অপরাজেয় বাংলার সামনে রাখা হবে। বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে বৃহস্পতিবার রাতে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। প্রায় এক দশক আগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একইভাবে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন লেখক হুমায়ুন আজাদ। এবার ২৬ ফেব্রুয়ারি খুন হলেন অভিজিৎ রায়। এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে একই কায়দায় খুন হন ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার। অভিজিতের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। এ সময় তিনিও গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে একুশে বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশপথের ফুটপাথে চা পানের জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে যুবক বয়সের দুই দুর্বৃত্ত অতর্কিতে চাপাতি দিয়ে পেছন থেকে অভিজিৎকে কোপাতে থাকে। এ সময় তার স্ত্রী তাকে রক্ষা করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কোপ দেয়। এরপর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলে কয়েকজন ফটোসাংবাদিক রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়। অভিজিৎ রায় ও রাফিদা আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। অভিজিৎ ‘মুক্তমনা’ ব্লগের সম্পাদক ও লেখক। ‘কুসংস্কার ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে’ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে জাহানারা ইমাম পদক পায় মুক্তমনা। তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে। রাফিদা আহমেদ লেখালেখি করেন বন্যা আহমেদ নামে। অভিজিৎ রায়ের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে, স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, বিশ্বাসের ভাইরাস।
×