ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উপকূলে চিংড়ি চাষ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

উপকূলে চিংড়ি চাষ

‘ঘের’ হলো উপকূলীয় দক্ষিণ বাংলার চিংড়ি চাষ প্রকল্পের স্থানীয় নাম। শুরু থেকে চিংড়ি চাষ কেন্দ্রিক বহুবিধ বেআইনী অপকর্ম ও অপরাধ প্রকাশ্যে সংঘটিত হয়ে আসছে। প্রথম দিকে ধানসহ কৃষি ফলন বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ত পানি ঠেকানোর বাধ-বন্দীর চুক্তি রেজিস্ট্রি নিয়ে শুরু হয় চুক্তি বিরুদ্ধ অপকর্ম। এসব অন্যায় অপকর্মের নির্বিকার শিকার এক সময়ের স্বচ্ছল ও মধ্যবিত্তরা হচ্ছেন- হত দরিদ্র, নিঃস্ব ও ভিটে-বাড়ি ছাড়া। মামলা ও নিষেধাজ্ঞার ফাঁদ পেতে বছরের পর বছর পেশীশক্তির জোরে অবৈধ দখলদারিত্ব ও জুলুম বজায় রাখে ক্ষমতাশালীরা। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ যত্রতত্র কেটে লবণাক্ত পানি ঢুকিয়ে বদ্ধ রেখে এবং সরকারী খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে চিংড়িচাষ অব্যাহত থাকলেও তা প্রতিরোধে কার্যকর সরকারী পদক্ষেপ নেই। দুঃখজনক ঘটনা যে, লবণাক্ত পানি প্রতিরোধব্যবস্থার মধ্যে লবণাক্ত পানি বদ্ধ রেখে অব্যাহত অন্যায় কর্মকা-ের সুষ্ঠু বিচারও হচ্ছে না। এসব ভুক্তভোগীরা এখন কেবল সৃষ্টিকর্তার কাছেই তাদের ফরিয়াদ জানাচ্ছেন। মূলত রাজনৈতিক ও স্থানীয় ক্ষমতাধরসহ মধ্যে রূপালী অর্থের ভাগাভাগির দৌরাত্ম্যে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন, সাধারণ মানুষ। অন্যায় অত্যাচারের ঘটনাসংকুল দক্ষিণ বাংলার উপকূলীয় অঞ্চলের ভাগ্যহত মানুষের প্রতি সরকারের দৃষ্টি দেয়া এখন সময়ের দাবি। এখানে এ যাবত কালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে ঘেরদস্যু ও তাদের সহযোগীরা। পক্ষান্তরে স্বচ্ছল থেকে ভূমিহীন হতদরিদ্রে পরিণত হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া কৃষি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মূল্যায়ন করলে মাথায় হাত উঠবে, যে কোন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদের। উল্লেখ্য যে অত্যন্ত লাভজনক চিংড়িচাষ অন্যের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা জমির মালিকদের ইচ্ছায় নাকি বাধ্যতামূলক তা বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনার দাবি রাখে। অরূপ কুমার দেবনাথ বাগেরহাট।
×