ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের তিন ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের তিন ব্যাংক হিসাব জব্দ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সোয়া এক কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দেয়ায় কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের তিন ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর থেকে বার বার নোটিস দেয়া সত্ত্বেও আয়কর জমা না দেয়ায় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি আয়কর আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ওই হিসাব জব্দ করে। যে ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করা হয়েছে তা হলো- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখা ও ঢাকা ব্যাংকের ইসলামী শাখার ব্যাংক হিসাব। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৭৫৮ টাকার আয়কর আদায় করতে ওই ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তবে ব্যাংক হিসাব জব্দ করেও মেলেনি তাদের প্রাপ্য অর্থ। কারণ, জব্দকৃত তিনটি ব্যাংক হিসাবে মোট ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় ৪০ হাজার টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় ৪৬ হাজার টাকা ও ঢাকা ব্যাংকের ইসলামী শাখার ব্যাংক হিসাব থেকে ৮০ হাজার টাকা জব্দ করেছে রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠানটি। পোশাক কারখানার মান উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ কম জসিম উদ্দিন ॥ দেশের তৈরি পোশাক কারখানায় প্রিফ্যাবরিকেটেড ম্যাটারিয়াল ব্যবহারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কারখানা মালিকগণ। তৈরি পোশাক কারখানাকে রাজধানীর বাইরে স্থানান্তর ও কম্পøায়েন্স ইস্যুকে পূর্ণ করতে এসব উপাদান আমাদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকার পরও উদ্যোক্তাগণ তা ব্যবহার করছেন না। কারণ হিসেবে তারা অগ্রিম আয়কর আর ভ্যাট থাকা এবং অগ্নি নিরোধক রং আমদানিতে শুল্ক থাকাকে দায়ী করছেন। জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, অগ্নি নিরোধক রং আমদানিতে কর মুক্ত করার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আবেদন করেছিলাম। তারা এখনও এর কোন জবাব দেয়নি। তিনি বলেন, এই রং আমদানিতে অগ্রিম আয়কর, ভ্যাট আর আমদানি শুল্ক থাকায় উদ্যোক্তাদের কেউই আগ্রহী হচ্ছে না। এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য ফরিদ উদ্দিন জনকণ্ঠকে জানান, অগ্নি নিরোধক রং আমদানিতে কর মুক্ত সুবিধা দিতে বিজিএমইএ‘র পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে এ ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি এনবিআর। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টাস এ্যাসেসিয়েশন (বিজিএমইএ) সূত্র জানায়, পোশাক কারখানা তৈরিতে ব্যবহৃত প্রিফ্যাবরিকেটেড ম্যাটারিয়াল আমদানি শুল্কমুক্ত ঘোষণার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে মাত্র দু‘টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের অনুমোদন নেয়া হয়। জানা যায়, চলতি বাজেটে সরকার কারখানার জন্য প্রিফ্যাবরিকেটেড ম্যাটারিয়াল আমাদানিতে কারখানা মালিকদেরকে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এছাড়া অগ্নি নিরোধক ভবনের প্রতি বর্গফুট জায়গায় অগ্নি নিরোধক রং ব্যবহারের খরচ পড়ে ৫৫০-৬০০ টাকা। তবে এই রং আমদানিতে দিতে হয় অগ্রিম আয়কর, ভ্যাট আর আমদানি শুল্ক। বিজিএমইএর তথ্য মতে, অগ্নি নির্বাপণ মান অনুযায়ী কারখানা করতে হলে প্রায় ৩৫ শতাংশ তৈরি পোশাক কারখানাকে স্থানান্তর করতে হবে।
×