ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘রিল্যাক্স মুডে ভেট্টরি’

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

‘রিল্যাক্স মুডে ভেট্টরি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফাইনালের আগে যেন আরেকটি ফাইনাল দেখা যাবে শনিবার। এদিন যে অকল্যান্ডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দুই স্বাগতিক দল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে। যে দল দুটিকে ধরা হচ্ছে মেলবোর্নে ২৯ মার্চের ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ। এ দুই দলই শিরোপা জেতার দাবিদার। এ ম্যাচটিতে ‘হার-জিতে’র ওপর আবার গ্রুপ পর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলও নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। তবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্পিনার ডেনিয়েল ভেট্টরি ম্যাচটিতে ‘হার-জিত’ নিয়ে ভাবছেন না। তার ভাবনা ম্যাচটিতে ‘বিনোদন’ দেয়া। বিনোদন মানে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে যেমন ওয়েলিংটনে ১২৩ রানে অলআউট করে দিয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই রকম কিছুই চান ভেট্টরি। ভেট্টরি নিজেই বলেছেন, ‘ওয়েলিংটন ম্যাচে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) অনেক বিনোদন মিলেছে। মজা পাওয়া গেছে। ম্যাচে আমরা এভাবেই খেলতে চাই। আমরা দেখতে চাই ৪৫,০০০ দর্শক আমাদের জন্য চিৎকার করছে। এবারও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিনোদন চাই। অস্ট্রেলিয়াও নিশ্চয়ই তাই করার চেষ্টা করবে।’ শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা খুব বেশি সিরিয়াস হচ্ছেন না। সাধারণ ম্যাচের মতোই আবহ কিউই শিবিরে। তবে যে করেই হোক জয় পেতে বদ্ধ পরিকর ক্রিকেটাররা। এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে উত্তেজনাকর ম্যাচ হতে যাচ্ছে এটি। দুই স্বাগতিক দল যে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড জিতলে আবার সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে নেবে। আর অস্ট্রেলিয়া জিতলেও নকআউট পর্বে খেলার টিকেট পেতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। ‘এ’ গ্রুপে হয় নিউজিল্যান্ড নয়ত অস্ট্রেলিয়াই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে, পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে থাকবে ধরে নেয়া হচ্ছে। এ ম্যাচটিতে যে দল উতরে যেতে পারবে, তারাই সেই শীর্ষস্থানটিতে বসবে ধরাও হচ্ছে। এর সঙ্গে আবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া মানে ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার সুযোগ মিলবে। সেই সুযোগ কে না চায়। ভেট্টরি তাই বলেছেন, ‘আমরা আর ম্যাচগুলো নিয়ে যেভাবে ভাবি, এই ম্যাচ নিয়েও সেভাবেই ভাবছি। বিশেষ কিছু ভাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আমরা সামনের দিক নিয়েই ভাবছি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বড় ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। আমরা এগিয়ে যেতে পারব কিভাবে, তা নিয়েই চিন্তায় আছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরেছি। এবার জিততে চাই। এবার ভাল সুযোগ রয়েছে জেতার।’ খেলাটি হবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। নিজ মাটিতে খেলা থাকায় জেতার সুযোগ নিউজিল্যান্ডেরই বেশি। তবে বিশ্বকাপে আবার অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সংখ্যাই বেশি। ৮ ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ড ৬টিতেই হেরেছে। অবশ্য একটি এমন ম্যাচ জয় আছে, যে জয়টি শনিবার নিউজিল্যান্ডের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। ১৯৯২ সালে যে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ হয়েছে। সেবারও অকল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড খেলা হয়েছে। সেই ম্যাচে জিতেছিল নিউজিল্যান্ডই। এবারও অকল্যান্ডে খেলা এবং নিউজিল্যান্ডও জয়ের আশাই করছে।
×