ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাব্য সঙ্কটে পটুয়াখালীর নৌরুট, ডুবোচরে আটকে পড়ছে যান

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

নাব্য সঙ্কটে পটুয়াখালীর নৌরুট, ডুবোচরে আটকে পড়ছে যান

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৬ ফেব্রুয়ারি ॥ ‘এক বাও মেলেনা, দো বাও মেলেনা’ এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি গল্পের একটি জনপ্রিয় সংলাপ। কিন্তু পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে লঞ্চে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছে গভীর রাতে রবীন্দ্রনাথের ছুটি গল্পটি মনে পড়াই স্বাভাবিক। কারণ লঞ্চ যখন ডুবোচরে আটকে পড়ে তখন লঞ্চের লস্কররা হাতে লগি (বাঁশ) নিয়ে এক বাম দু বাম বলে চিৎকার করে নদীর পানির গভীরতা মাপেন আর লঞ্চের মাস্টাররা সে নির্দেশনাতেই লঞ্চ পরিচালনা করেন। নাব্য সঙ্কটের কারণে এখন ব্যাহত হচ্ছে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল। এ কারণে এখন প্রায়ই এই রুটের কোন না কোন ডুবোচরে আটকে পড়ছে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো। আর এতে করে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে নদী পথ ঠিক তেমনি যাত্রীদের খরচ ও সময় দুটোই বাড়ছে। কারণ ডুবোচরে লঞ্চ আটকে পড়লে অনেকেই বাধ্য হয়ে নেমে সড়ক পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় অথবা অন্য লঞ্চে উঠতে হয়। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটটি বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। আর এতে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি ভেঙ্গে পড়বে পুরো দক্ষিণ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনীতি। পটুয়াখালীর নদীনির্ভর অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি সংশ্লিষ্টদের। ঢাকা থেকে পটুয়াখালী নদীপথে ৩৮৩ কিলোমিটার হলেও পটুয়াখালী অংশের অধিকাংশ এলাকায় জেগে উঠেছে ডুবোচর। ছোট-বড় বাঁকে আটকে যাচ্ছে এই রুটে চলাচলকারী ডাবলডেকার যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো। ঢাকায় যেতে স্বল্পখরচে নিরাপদে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের জন্য পটুয়াখালীর মানুষের কাছে প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এই লঞ্চ যোগাযোগ। তবে নাব্য সঙ্কট ও ডুবোচরের কারণে তা এখন হুমকির মুখে। পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌরুটের নদী খনন কাজ করা হবে। তবে কবে নাগাদ তা শুরু করা হবে তা জানাতে পারেননি তারা। কেশবপুর ওসি এলএসডির কয়টি কোয়ার্টার? স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কেশবপুর খাদ্যগুদামের ওসি এলএসডি প্রবোধ পাল দুটি সরকারী কোয়ার্টার ভোগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্মচারীদের মধ্যে বরাদ্দকৃত কোয়ার্টার বিভাজনে অনিয়ম করে তাঁকে একই সঙ্গে দুটি কোয়ার্টার দেয়া হয়েছে। কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশ করে এ অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গেছে, খাদ্য বিভাগের কর্মচারীদের মাঝে সরকারের বরাদ্দকৃত কোয়ার্টার রয়েছে। সামান্য ভাড়ার বিনিময়ে কর্মচারীরা ওই কোয়ার্টারে বসবাস করেন। কিন্তু যশোর খাদ্য বিভাগে কোয়ার্টার বরাদ্দ নিয়ে চলছে নানা অনিয়ম। যশোরের কেশবপুর খাদ্যগুদামের ওসি এলএসডি প্রবোধ পাল দীর্ঘদিন যাবত একই সঙ্গে দুটি সরকারী কোয়ার্টার ভোগদখল করে আসছেন। কেশবপুরের খাদ্যগুদাম ছাড়াও যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুরে তাঁর নামে আলাদা একটি কোয়ার্টার বরাদ্দ রয়েছে। তবে তাঁর নামে খাতা-কলমে শুধু কেশবপুরের কোয়ার্টার বরাদ্দ দেখানো হয়। সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুরের কোয়ার্টারটিতে তিনি সপরিবারে বসবাস করলেও ভাড়া দেন না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেশবপুর খাদ্যগুদামের ওসি এলএসডি প্রবোধ পাল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাঁর কেশবপুরের কোয়ার্টার মেরামত করা হচ্ছে, এ জন্য তিনি সদরের কোয়ার্টারে থাকেন। যশোর সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের ওসি এলএসডি আব্দুস সালাম বলেন, প্রবোধ পাল আগে যশোর সদরে থাকতেন কিন্তু কেশবপুরে যাওয়ার পরও তিনি কোয়ার্টারটি দখল করে রেখেছেন। প্রতি মাসে কোয়ার্টারে বসবাসকারীদের তালিকা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দফতরে পাঠানো হয়। যশোর সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার বলেন, কোয়ার্টার বরাদ্দের দায়িত্ব ওসি এলএসডির; তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। এ বিষয়ে জানতে কেশবপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক সন্দীপ কুমার দাসের মোবাইলে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি লাইন কেটে দেন।
×