ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরখাস্ত ও হয়রানি

কক্সবাজারের হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কক্সবাজারের হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজারে তারকা মানের হোটেল ওশান প্যারাডাইসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মবহির্ভূত বরখাস্ত ও নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী এক কর্মকর্তা মামলা করেছেন জজ আদালতে। কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালত আগামী ২২ মার্চ ঐ মামলার শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেছেন। হোটেলে অভ্যন্তরীণ ওই দ্বন্দ্বের কারণে প্রভাব পড়ছে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ওপর। এতে পর্যটকরা নানাভাবে প্রতারিতও হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, পর্যটন এলাকা হওয়ায় কক্সবাজারে প্রায় চারশ হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ থাকার পরও পর্যটকদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ২০১১ সালের শেষের দিকে চালু হয় পাঁচ তারকামানের ‘ওশান প্যারাডাইস হোটেল এ্যান্ড রিসোর্ট।’ প্রায় তিনশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিদিন এ হোটেলে কাজ করে। উচ্চ বিলাসী পর্যটকদের ভিড় পড়ে এ হোটেলের দিকে। কয়েক বছর ভাল ব্যবসাও করে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মালিকপক্ষ বেপরোয়া হয়ে উঠেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা যখন যাকে ইচ্ছা- নিয়মবহির্ভূত ছাঁটাই, বরখাস্ত এবং নানাভাবে হয়রানি শুরু করে দেয়। সহ্য করতে না পেরে অনেকে চাকরি ছেড়ে ইতোমধ্যে চলে গেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে ছাঁটাইয়ের অভিযোগে কোম্পানির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন হোটেলের সহকারী ব্যবস্থাপক (রেজারভেইশন) ফয়সাল আহমেদ। কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দায়েরকৃত মামলার বিবাদীরা হলেন ওশান প্যারাডাইস হোটেল এ্যান্ড রিসোর্টের হিউম্যান রিসোর্স এ্যান্ড এডমিন ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মোতালেব, ফিন্যান্স কন্ট্রোলার হায়াৎ খান ও সেল্স এ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দ খারুল আনাম আল ওসমান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেলের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, হিউম্যান রিসোর্স এ্যান্ড এডমিন ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মোতালেব কোম্পানির পক্ষে সব ক্ষমতার অধিকারী ও আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সময় হুমকির মধ্যেই রাখেন। ফলে এর প্রভাবটি পড়ছে সরাসরি পর্যটকদের ওপর। এতে পর্যটকরা অতিরিক্ত টাকা দেয়াসহ নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হিউম্যান রিসোর্স এ্যান্ড এডমিন ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘কোম্পানির নির্দেশনা অনুযায়ী আমি কাজ করে যাচ্ছি’। মান্নার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে ॥ হানিফ নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ২৫ ফেব্রুয়ারি ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, নাগরিক ঐক্য বা সুশীল সমাজের নামে ভদ্রতার মুখোশ পরে তিনি ভেতরে যে ষড়যন্ত্র করতেন ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য বিএনপিকে ইন্ধন দিতেন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্নার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, নাগরিক ঐক্যের নামে সংলাপের আহ্বানও ছিল পেট্রোলবোমায় মানুষ হত্যার অপকৌশলকে আড়াল করার চেষ্টা। বুধবার দুপুরে শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন, বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে তার কথোপকথনের মাধ্যমে সারাদেশে যে নাশকতা হচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে বিএনপিই জড়িত সেটিও পরিষ্কার হয়ে গেছে।
×