ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রক্ষা প্রকল্প ঝুলে আছে ৯ বছর

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রক্ষা প্রকল্প ঝুলে আছে ৯ বছর

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৫ ফেব্রুয়ারি ॥ পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতকে বঙ্গোপসাগরের বিক্ষুব্ধ ঢেউয়ের তা-ব থেকে রক্ষাকল্পে প্রতিরক্ষামূলক প্রকল্প ১০ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও এখানকার ঐতিহাসিক এবং আধুনিকভাবে গড়ে ওঠা মূল্যবান স্থাপনা, পর্যটকদের আকৃষ্ট করার স্পটগুলো সাগরের ভাঙ্গনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। প্রস্তাবনা আকারে দেয়া নয় কোটি ৯৯ লাখ টাকার প্রকল্পটির অনুমোদন কিংবা প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতের বেলাভূমের ক্ষয়রোধ ঠেকাতে বাংলাদেশ পাউবো দক্ষিণ অঞ্চল জোন বরিশাল অধীন খেপুপাড়া পাউবো উপ-বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্প প্রতিবেদন প্রস্তাবনা আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত কিংবা বরাদ্দ এমনকি, কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে অস্তিত্ব সঙ্কটে রয়েছে কুয়াকাটা সৈকত এলাকা। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ইনভেস্টর ফোরামের উদ্যোগে ২০০৪ সালের ২৮ নবেম্বর কুয়াকাটাকে রক্ষার্থে পাঁচ কিলোমিটার সৈকত এলাকায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের আদলে সিসি ব্লক স্থাপনের জন্য পর্যটন সচিবের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। ওই আলোকে ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ক্ষয়রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে পাউবোর দক্ষিণাঞ্চল বরিশালের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেন। তখন পাউবোর কলাপাড়াস্থ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ২০০৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এ প্রকল্পটি প্রণয়ন করেন। প্রকল্পের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে সৈকতের চার কিমি এলাকায় ঢাল রেখে দেড় মিটার উঁচু, উপরে ০.৯০ মিটার চওড়া সিসি ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা যেতে পারে। বেড়িবাঁধের সমান্তরাল সাগরের উঁচু ঢেউকে প্রতিহত করার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে প্রকল্পটি প্রণীত হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। সার কারখানা পরিদর্শন অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপন্স (ওপিসিডব্লিউ) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আইনের প্রয়োগবিধি সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। বাংলাদেশ উক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি সহযোগী সংস্থা। আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আইন অনুসারে সংস্থার নির্বাচিত পরিদর্শক দল প্রতি বছর বাংলাদেশের কিছুসংখ্যক কারখানায় বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার, উৎপাদন ও আমদানি সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সরেজমিনে দেখার লক্ষ্যে এদেশে পরিদর্শনে আসেন। এই আইনের আলোকে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক পরিদর্শক দল গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে ঢাকা এসে পৌঁছান। পরিদর্শক দল ইউরিয়া সার কারখানা, ঘোড়াশাল, পলাশ নরসিংদী এবং চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন দল বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ ও সার কারখানা ব্যবস্থাপনার প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিদর্শন দলটি বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, এনডিসি, পিএসসি, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাত করেন। দলটি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে ঢাকা ত্যাগ করেন। আইএসপিআর।
×