ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মায় লঞ্চডুবি

এখনও নিখোঁজ ৯ জন ॥ অজ্ঞাত নারীর লাশ আঞ্জুমানে হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

এখনও নিখোঁজ ৯ জন ॥ অজ্ঞাত নারীর লাশ আঞ্জুমানে হস্তান্তর

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ২৪ ফেব্রুয়ারি ॥ পদ্মায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নয় জনের কারও লাশই মঙ্গলবার পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকৃত ৭০ মরদেহের ৬৯টি তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে বাকী অজ্ঞাত এক মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ দুপুরে আঞ্জুমান মফিদুলের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার কার্গো ও লঞ্চের সংর্ঘষে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মোস্তফাকে উদ্ধারের পর পাটুরিয়ার দুই কিলোমিটার ভাটিতে দরিকান্দী এলাকায় সেটিকে রাখা হয়েছে। এখনো লঞ্চের নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে পাটুরিয়া ঘাটে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। লঞ্চ ট্রলার ও ইস্পিড বোট নিয়ে নিখোঁজদের খোঁজে পাটুরিয়ার ভাটির দিকে টহল দিচ্ছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস নৌপুলিশ ও শিবালয় থানা পুলিশের উদ্ধারকারী দল। নিখোজের স্বজনেরাও পদ্মার ভাটিতে ট্রলার দিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। এয়াড়া পাটুরিয়া ঘাটে অবস্থান করছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তরা। লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজরা হলেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবুল হোসেন হাসু, এলাচিপুর গ্রামের শেখ আফাজ উদ্দিনের ছেলে সোরহাব হোসেন, চরকুশন্ড গ্রামের হাবিব মোল্লার ছেলে মান্নু পাগলা, ঢাকার মহাখালী এলাকার ৭৫ নম্বর বাসার সামাদ হোসেনের ছেলে ব্র্যাক কর্মকর্তা মোস্তফা মাহফুজ, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দলিলপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের মেয়ে মারুফা খাতুন, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মুরাদনগর গ্রামের সেকেন আলীর স্ত্রী অজিরুননেসা, নড়াইলের লোহাগড়া এলাকার হাসেম আলীর স্ত্রী সাহেদা বেগম, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যাদবপুর গ্রামের মিলন শেখের স্ত্রী লিপি আক্তার ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুর ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা ।
×