ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুড়িয়ে মানুষ হত্যা

মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকায় সংসদে ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকায় সংসদে ক্ষোভ

সংসদ রিপোর্টার ॥ চলমান হত্যা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, পেট্রোলবোমা মেরে এত মানুষ মারা হচ্ছে কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোন কথা বলছে না। তারা চুপ কেন? আইনী শিথিলতার কারণেই একের পর এক লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটছে। অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এটা কারও কাছেই কাম্য নয়। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী, তাহজীব আলম সিদ্দিকী ও হাজী মোহাম্মদ সেলিম বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন। চলমান আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও ও পুড়িয়ে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, পেট্রোলবোমা মেরে এত মানুষ মারা হচ্ছে কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোন কথা বলছে না। তারা চুপ কেন?। তিনি বলেন, দেশে দেড় শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনও রয়েছে। কিন্তু কোন মানবাধিকার সংগঠন বা কমিশন কথা বলছে না। তারা মুখ বন্ধ করে আছে। তারা এখন বলছে না মানুষকে পুড়িয়ে মারার মাধ্যমে জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হওয়া দরকার। যে যে দলই করি না কেন, এরকম জঘন্য হত্যাকা- ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, এনজিওদের যেমন জবাবদিহিতা নেই, মানবাধিবার সংগঠনগুলোরও নেই। শুধু বিদেশ থেকে টাকা আনাই হচ্ছে এদের কাজ। আজ তাদের দায়িত্ব ছিল হত্যাকা- ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে কথা বলা। মানুষ হত্যা করে রাজনীতি করা যাবে না- এসব কথা তাদের বলা উচিত। আজ কয়টি মানবাধিকার সংগঠন সত্যিকারের দায়িত্ব পালন করছে? মানবাধিকার লঙ্ঘণের বিরুদ্ধে কথা বলে? এসব সংগঠনের জবাবদিহিতার জায়গা কোথায়? এর তদন্ত হওয়া দরকার তাদের আদৌ জবাবদিহিতা আছে কি-না। পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মায় এমভি মোস্তফা লঞ্চডুবির ঘটনা তুলে ধরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, আইনী শিথিলতার কারণেই একের পর এক লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটছে। অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। যারা ধরা পড়ছে তারাও আইনী শিথিলতার কারণে সহজেই জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এটা কারও কাছেই কাম্য নয়।
×