ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাটক না গ্রেফতার!

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

নাটক না গ্রেফতার!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রশ্ন সর্বত্রই। মাহমুদুর রহমান মান্না কি গ্রেফতার হয়েছেন না এটা কোন সাজানো নাটক! কারও কারও মতে ঘটনা কি রেজোয়ানা হাসানের স্বামীর ঘটনার মতো কোন সাজানো নাটক। সোস্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলছে একের পর এক মন্তব্য। খুব ভোরে তার পরিবার থেকে গ্রেফতারের দাবি করা হয়। তাই খুব ভোরেই ছড়িয়ে পড়ে গ্রেফতারের খবর। কিন্তু বেলা ১১টার কিছু আগে মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান মান্নাকে মহানগর পুলিশের কোন শাখা থেকে গ্রেফতার করা হয়নি। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার আটক নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বনানীর এক আত্মীয় বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবারের তরফ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তবে ডিবি পুলিশের তরফ থেকে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে। মাহমুদুর রহমানের সন্ধানে ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় বনানীর ওই বাড়ির এক নিরাপত্তা প্রহরী ও দুই গৃহকর্মীসহ ৫ জনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদিকে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জনরোষ ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় দুইটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দুইটির ক্যাম্পাসে দেখামাত্র মাহমুদুর রহমানকে গণধোলাই দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। জনরোষ থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়ে মাহমুদুর রহমান এমন নাটক সাজাতে পারে বলেও নানা গুঞ্জন রয়েছে। প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা লাভের পর থেকেই ক্ষমতাচ্যুত করার নানামুখী পরিকল্পনা চলছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের তরফ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন। চলমান অবরোধ-হরতালে সারাদেশে চোরাগোপ্তা হামলা করে সাধারণ মানুষকে পৈশাচিকভাবে জীবন্তু পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। হরহামেশাই যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নাশকতা চলছে। এমন নাশকতার বিরুদ্ধে দেশের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ রুখে দাঁড়ালে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার নতুন ফন্দি আঁটতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলে এবং সামরিক হস্তক্ষেপে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র চলে। ষড়যন্ত্রের কথোপকথন প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনায় চলে আসেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। দেশ বিরোধী এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা মাহমুদুর রহমানের শাস্তি দাবি করেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বনানীর বাসা থেকে মাহমুদুর রহমানকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে রাজধানীর একাধিক থানায় বেশ কিছু অভিযোগও করা হয়। এমনই একটি জিডি দায়ের করা হয় বনানী মডেল থানায়। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে বনানী মডেল থানায় মাহমুদুর রহমান মান্নার ভাবী সুলতানা বেগম এমনই একটি জিডি দায়ের করেন। দায়েরকৃত জিডিতে অভিযোগ করা হয়, সোমবার রাতে মাহমুদুর রহমান ভাতিজি সোহানারা শারমিনের বনানীর ই ব্লকের ১৭/এ নম্বর সড়কের ১২ নম্বর বাড়িতে ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে কয়েকজন বাসার দরজায় নক করে। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা খুলে দেয়। আগত ৫ থেকে ৬ জন নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। তারা মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বাড়ি থেকে বাইরে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বাইরে যায়। পরে ডিবি পরিচয়দানকারীরা তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকেই মাহমুদুর রহমান মান্নার হদিস নেই। জিডি দায়েরকারী সুলতানা বেগম জনকণ্ঠকে বলেন, আমার বাসা রাজধানীর কলাবাগানে। ঘটনার রাতে মেয়ের জামাইয়ের ওই বাড়িটিতে আমি বেড়াতে গিয়ে থেকে যাই। আমি নিজেও পুরো ঘটনা দেখেছি। এজন্য আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগেই মাহমুদুর রহমানের সন্ধান পেতে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। তবে জিডি করার সময় আমার কাছে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। আমি যতটুকু জানি পুলিশকে বলেছি। মাহমুদুর রহমানের পরিবারের তরফ থেকে একটিমাত্র জিডিই দায়ের করা হয়েছে। যেটি তিনিই করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে আমি গৃহিণী। তিনি মাহমুদুর রহমানের সন্ধান জানতে সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেন। জিডিটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহিনুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের বিষয়টি তাদের জানা নেই। নিখোঁজ মাহমুদুর রহমানের বিষয়ে দায়েরকৃত জিডিটির তদন্ত চলছে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই বাড়িটির নিরাপত্তাপ্রহরী মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫), গৃহকর্মী রিমা (১৫) ও জেবাসহ (১৬) অন্তত ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার বা আটক সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। সাদা মাইক্রোবাস নিয়ে ডিবির দল যাওয়ার বিষয়েও তারা কোন তথ্য দিতে পারেননি। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এবং ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ডিবি কর্তৃক মাহমুদ রহমান গ্রেফতার বা আটক হয়নি। অন্যকোন সংস্থা মাহমুদুর রহমানকে আটক করেছে কিনা তাও তাঁদের জানা নেই। তাঁরা তা জানার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে জানান, র‌্যাব মাহমুদুর রহমানকে আটক বা গ্রেফতার করেনি। এমনকি র‌্যাবের কাছে মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের বিষয়ে কোন তথ্য নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে র‌্যাব বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু এবং চাকসু অনারবোর্ড থেকে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম মুছে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ডাকসু সংগ্রহ শালাতে ঢুকে বিশ থেকে ত্রিশ জন শিক্ষার্থী মান্নার বাঁধাই করা ছবি বাইরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেন। মান্নাকে ক্যাম্পাসে দেখামাত্র গণধোলাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঢাবিতে মান্নার সনদ নেই ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হয়ে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। কিন্তু কোর্স শেষ না করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন সনদ পাননি। তবে ছাত্রত্ব বাতিল, মামলা বা অন্য কোনো উপায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সে বিষয়টি ভেবে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জনকণ্ঠকে জানান, তিনি (মান্না) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের একটি বিভাগে ভর্তি হলেও কোর্স শেষ করেননি তিনি। তাই, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে কোন সনদ দেয়নি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার ছাত্রত্ব বাতিল বা তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, ওই নেতার বক্তব্যের মাধ্যমে তার বহির্প্রকাশ ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মায়ের মতো। সেই মায়ের বিরুদ্ধে কোন সন্তান এরকম ষড়যন্ত্র করতে পারে তা অচিন্তনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারবে না। কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সম্প্রতি, ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে একটি ফোনালাপের রেকর্ডে মান্নার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলে, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র’ ফাঁস হওয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ মহল থেকে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ॥ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ সমালোচিত মাহমুদুর রহমান মান্নার বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহমুদুর রহমান মান্নার সনদ বাতিলের ব্যাপারটি প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করা হবে জানান। তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নামের অনারবোর্ড থেকেও মান্নার নাম মুছে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ সময় সংগ্রহশালায় থাকা মান্নার ছবিও খুলে ফেলা হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সালে চাকসুর নির্বাচিত জিএস ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। এ সময় মান্নাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার সনদ বাতিলের দাবি জানানো হয়। ক্যাম্পাসে দেখামাত্র মাহমুদুর রহমানকে গণধোলাই দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাগরিক ঐক্যের বক্তব্য ॥ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার বিকেলে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। এরপর বিকালে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচরাপতি মোঃ আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়। তবে ওই রিটের নথি আদালতের কাছে না পৌঁছায় এ বিষয়ে কোন শুনানি হয়নি। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড.শাহদীন মালিক। রাষ্ট্র্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিট শুনানির বিষয়ে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, মান্নার সন্ধান চেয়ে তার স্ত্রী হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস আওতায় একটি রিট আবেদন দায়ের করেছেন। কিন্তু আদালতে ওই রিটের নথি এসে পৌঁছেনি। যার কারণে নথি ছাড়া শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অপরাগতা প্রকাশ করা হয়। পরে এ বিষয়ে আদালত আর কোন আদেশ দেননি। একই বিষয়ে জানতে চাইলে মান্নার পক্ষে আইনজীবী শাহদীন মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সিপিবির বক্তব্য ॥ বুধবার সিপিবির তরফ থেকে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকাশিত বক্তব্য মাহমুদুর রহমানের নিজস্ব। মাহমুদুর রহমানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কোন কোন ব্যক্তি ও মহল সিপিবিকে জড়িয়ে অপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে সিবিবির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
×