ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাশকতা প্রতিরোধে বগুড়ায় সামাজিক আন্দোলন

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

নাশকতা প্রতিরোধে বগুড়ায় সামাজিক আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ নাশকতা প্রতিরোধে বগুড়ায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে। জেলা পুলিশ এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রগতিশীল ধারার সব রাজনৈতিক দল এতে সমর্থন দিয়েছে ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। প্রতিটি মহল্লায় এলাকার ও সমাজের গণমান্য ব্যক্তি প্রবীণ ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিদিনিই বৈঠক করছেন পুলিশের কর্মকর্তাগণ। এভাবে সামাজিক সচেতনতা গড়ে ওঠায় বগুড়া অঞ্চলে বিএনপি জামায়াতের ডাকা অবরোধ ও হরতালে সহিংস ঘটনা কমেছে। বিশেষ করে পেট্রোলবোমা হাতবোমা ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা কমেছে। সোমবার বিকেলে বগুড়া পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে জানান, গত ৫ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বগুড়া অঞ্চলে নাশতকতার ঘটনায় হাতেনাতে যে ২৯ জনকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৪ স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তারা বিএনপি ও শিবিরের সঙ্গে যুক্ত। নাশকতার ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশের ৬ জন সদস্য আহত হয়েছে। তাদের দুই জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানায়, বগুড়ায় এ পর্যন্ত ৪৯ মোটর গাড়ি (ট্রাক ও বাস) পোড়ােেনা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ২৮ যানবহন। ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে ৬৬টি। পেট্রোলবোমা ১২টি। উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি পেট্রোলবোমা, ৪৬টি ককটেল। শক্তিশালী হাতবোমা ৩টি। এই হাতবোমা এতটাই শক্তিশালী যে মাঝারি স্থাপনা উড়িয়ে দেয়া যায়। গত ৫০ দিনে বগুড়ায় পেট্রোলবোমায় ঝলসে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে ৪ জন। দগ্ধ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন ২৫ জন। এখনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন ৭ জন। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষ দিনে দিনে নাশকতার বিরুদ্ধে ফুঁসিয়ে উঠে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। প্রতিটি উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার গিয়ে সাধারণ মানুষকে ডেকে নিয়ে উদ্বুদ্ধ করে তুলছেন। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে ওঠায় দুর্বৃত্তরা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। বগুড়ায় গত প্রায় দেড় মাসের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাধারণ মানুষ দিনে দিনে নাশকতার বিরুদ্ধে ফুঁসিয়ে উঠে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। প্রতিটি উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার গিয়ে সাধারণ মানুষকে ডেকে নিয়ে উদ্বুদ্ধ করে তুলছেন। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে ওঠায় দুর্বৃত্তরা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে।
×