ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সার সঙ্কটের আশঙ্কা নেই ॥ মতিয়া

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সার সঙ্কটের আশঙ্কা নেই ॥ মতিয়া

সংসদ রিপোর্টার ॥ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন বোরো মৌসুমে সারের কৃত্রিম সঙ্কটের কোন আশঙ্কা নেই। এছাড়া বর্তমান সরকারের সময়ে বিগত বছরসমূহে সেচের প্রয়োজনে ডিজেল সঙ্কট দেখা দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। সোমবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, বিগত বছরসমূহে সারের চাহিদা ও ব্যবহার বিবেচনায় রেখে মাসভিত্তিক সারের বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরপরও কোথাও অতিরিক্ত কোন সারের চাহিদা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের মাধ্যমে তা পূরণ করা হয়ে থাকে। বরাদ্দকৃত সারের অনুকূলে সঠিক সময়ে ও যথাযথভাবে অর্থ জমা দিয়ে সার উত্তোলনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তিনি জানান, ডিলারভিত্তিক দৈনন্দিন সারের মজুত পরিস্থিতি যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে সরকার উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী কৃষক পর্যায়ে সারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়। তিনি জানান, কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সকল প্রকার উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের উদ্দেশে সরকার সব সময়ই সচেতন এবং এ বিষয়ে বর্তমান কৃষক বান্ধব সরকার সব সময়ই আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। এছাড়া আসন্ন বোরো মৌসুমে কৃষক যাতে সঙ্কটে না পড়ে সেজন্য বিএডিসি’র ২২টি সার অঞ্চলের বাফার গুদামসমূহে টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় আরও নন-ইউরিয়া সার আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের গ্রাম ও উপশহর এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা প্রদান করা কৃষি ব্যবসায় কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণে বাংলাদেশের এগ্রিবিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক একটি প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ এগ্রিবিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (বিএডিপি) আওতায় গ্রাম ও উপশহর এলাকায় কৃষি ব্যবসা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্প মেয়াদে ১২ হাজার ৩৫ জন নারী উদ্যোক্তাসহ মোট ৩৩ হাজার ৪৩২ জন কৃষি ব্যবসায় উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে এবং সৃষ্ট উদ্যোক্তার মধ্যে প্রায় ২৫৮ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমান প্রকল্পের আওতায় গঠনকৃত রিভলভিং ফান্ড চলমান রয়েছে এবং জানুয়ারি ২০১২ হতে জুন ২০১৪ পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৯৬৭ জন সাব-ব্রোরোয়ার্সকে ২২০ কোটি রিভলভিং ক্রেডিট ফান্ড বিতরণ করা হয়েছে। ন্যাপের আমিনা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, বর্তমান অর্থবছরে এ পর্যন্ত সারের খাতে ২০৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকাসহ ২০০৮-০৯ অর্থবছর হতে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৪৩ হাজার ৪১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। উন্নয়ন সহায়তার মধ্যে সার ছাড়াও বিদ্যুত, ডিজেল এবং ইক্ষু খাত রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমান অর্থবছরে এ খাতে ৯ হাজার কোটি বরাদ্দ রয়েছে, যার মধ্যে ১ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে।
×