ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধোঁয়াবিহীন রান্নাঘর ৩ কোটি চুলা সরবরাহের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ধোঁয়াবিহীন রান্নাঘর  ৩ কোটি চুলা সরবরাহের পরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার॥ ২০৩০ সালের মধ্যে ধোঁয়াবিহীন হবে দেশের সকল রান্নাঘর। এজন্য তিন কোটি উন্নত চুলা সরবরাহের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এজন্য রবিবার গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ক্লিন কুকস্টোভ’র (জিএসিসি) নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে সরকারের টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন সংস্থা (শ্রেডা)। রবিবার ওই সমঝোতার সময় জানানো হয়েছে প্রচলিত চুলার নির্গত ধোঁয়ার কারণে প্রতিবছর ৫০ হাজার নারী শিশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো জরুরী। অনুষ্ঠানে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ধোঁয়াবিহীন উন্নত চুলার ব্যবহার বাড়াতে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরী। ধোঁয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুত পৌঁছে যাবে। উন্নত আধুনিক চুলার ব্যবহার বাড়বে। কাঠের ব্যবহার কমে যাবে। তবে কিছু দুর্গম এলাকা রয়েছে যেখানে হয়তো বিদ্যুত পৌছানো যাবে না। সে সব এলাকায় সৌর বিদ্যুত ও উন্নত চুলার ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানি সমস্যার সমাধান করতে হবে। সমঝোতায় শ্রেডার পক্ষে সংস্থার সচিব শেখ ফয়জুল আমিন ও গ্লোবাল এ্যালায়েন্সের পক্ষে অরিজিৎ বসু স্বাক্ষর করেন। এই সমঝোতার অন্যতম লক্ষ্য- বিদ্যমান চুলা ও জ্বালানির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কার্যক্রমের এলাকা চিহ্নিত করণ,কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি ও গৃহস্থলে ধোঁয়া নিঃসরণ হ্রাস করে গৃহস্থ জ্বালানির প্লাটফর্ম স্থাপন করা। এর আওতায় অগ্রাধিকার দেয়া হবে উন্নত চুল্লির সরবরাহ নিশ্চিত করা, চাহিদা বৃদ্ধি এবং এ জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হবে। শ্রেডার চেয়ারম্যান তাপস কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে নেদারল্যান্ডস্ ডেভেলপমেন্ট ওর্গানাইজেশন এর কর্মসূচী প্রধান আসিফ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল এ্যালাইন্সের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক অরিজিৎ বসু বক্তব্য রাখেন।
×