ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়া পৌঁছেছে তিন ব্রিটিশ কিশোরী

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সিরিয়া পৌঁছেছে তিন ব্রিটিশ কিশোরী

লন্ডন থেকে পালানো তিন ব্রিটিশ কিশোরী জিহাদী কনে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য সংঘর্ষে তুর্কি সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় আইএস নিয়ন্ত্রিত তাল আবিয়াদ শহরে পৌঁছেছে বলে তুর্কি গোয়েন্দা সূত্র আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, লন্ডনের এ নিখোঁজ তিন কিশোরীর পরিবার দেশে ফিরে আসার জন্য মিনতি জানিয়েছেন তাদের প্রতি। খবর টেলিগ্রাফ ও বিবিসি অনলাইনের। লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী পালিয়ে যাওয়া তিন কিশোরীকে আইএস যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশের আগে খুঁজে বের করার জন্য চলছে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চেষ্টা। কিন্তু তুরস্কে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। শামীমা বেগম (১৫), খাদিজা সুলতানা ১৬ ও আমিরা আবাসে (১৫) শুক্রবার মোটরগাড়িতে করে তুর্কি সীমান্তে পৌঁছেছে এবং সীমান্ত অতিক্রম করে তাল আবিয়াদ পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক তুর্কি ‘গোয়েন্দা সূত্র টেলিগ্রাফকে জানিয়েছে, তাদের শুক্রবার তাল আবিয়াদ শহরে দেখা গেছে। তারা এক সিরীয় পুরুষের সঙ্গে একটি মোটর গাড়িতে ঘুরছে। তারা সিরীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করছে। সূত্র জানায়, আমরা বুঝতে পারছি, মেয়েরা ইস্তামুল পৌঁছবার পর এক আইএস সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে। যে সকল বিদেশী এ জঙ্গী সংগঠনে যোগ দিতে চায় তাদের সহায়তার দায়িত্বে নিয়োজিত এ আইএস-সদস্যটি। সূত্র জানায়, সীমান্তে যাওয়ার আগে তারা দু’দিন ইস্তাম্বুল অবস্থান করেছে। এর আগে ইস্তাম্বুলে এক আইএস সূত্র জানিয়েছে কিশোরীরা সিরিয়ায় কয়েকশ’ আইএস যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার অবস্থানে অচিরেই পৌঁছবে। শামীমার পরিবার বলছে, তারা বুঝতে পারছে, যারা সমস্যায় রয়েছে তাদের সাহায্য করার জন্যই শামীমা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সিরিয়া ‘একটি বিপজ্জনক স্থান’। খাদিজার পরিবার বলছে, ‘তারা খুবই মর্মাহত’। জানা গেছে, ২০১৩ সালে সিরিয়া ভ্রমণকারী গ্লাসগোর এক নারী ওই তিন কিশোরীর মধ্যে অন্ততপক্ষে এক কিশোরীর সঙ্গে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই নারীর পরিবার জানিয়েছে, ওই কিশোরীদের রিক্রুটে তাদের মেয়ে সহায়তা করেছে ভেবে তারা ‘খুবই আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ’। আকশা মাহমুদ নামে ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুমি তোমার পরিবার ও স্কটল্যান্ডের মর্যাদা নষ্ট করেছ। তোমার এই ধরনের পদক্ষেপ এক ধরনের বিকার এবং ইসলামের বিকৃতি। এক বিবৃতিতে শামীমার পরিবার বলছে, আমরা তোমার অভাব অনুভব করছি তীব্রভাবে। তোমার জন্যে আমরা ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। সিরিয়া একটি বিপজ্জনক স্থান। আমরা চাই না তুমি সেখানে যাও। পুলিশের সহায়তা নাও। তারা তোমাকে বাড়ি ফেরার জন্য সাহায্য করবে। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় জঙ্গী সংগঠন আইএসের তথাকথিত জিহাদীদের স্ত্রী হতে ৫০ জনেরও বেশি ব্রিটিশ নারী তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে। এই তিন স্কুলছাত্রীর ক্ষেত্রেও একই ধারণা করা হচ্ছে। লন্ডনের পুলিশ আশা করছে, মেয়েগুলো অভিভাবক ও নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্বেগের বিষয়টি বুঝতে পারবে এবং পরিবারের কাছে ফিরে আসার মতো সাহসিকতা দেখাবে। ভারি তুষারপাতের কারণে তুরস্কে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। সে কারণে মেয়েগুলো এখনও সিরিয়ায় পৌঁছতে পারেনি বলে ধারণা করছে লন্ডনের পুলিশ।
×