ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মার্চ-এপ্রিলেই তাপ বাড়বে ॥ দফায় দফায় কালবৈশাখীর দাপটের পূর্বাভাস

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মার্চ-এপ্রিলেই তাপ বাড়বে ॥ দফায় দফায় কালবৈশাখীর দাপটের পূর্বাভাস

মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আগামী মার্চ মাস থেকেই সারাদেশের ওপর দিয়ে দফায় দফায় তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে শুরু করবে। এপ্রিলে মারাত্মক গরম অনুভূত হবে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। মে মাস পর্যন্ত পুরো গ্রীষ্মে গরম অনুভূত হতে পারে অস্বাভাবিক। স্বল্প দৈর্ঘ্য শীত অতিবাহিত হওয়ার পর ইতোমধ্যে চলতি মাস থেকেই তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আবহাওয়া দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুধু গরম নয় মার্চ-এপ্রিল জুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখীর দাপট থাকবে। তবে প্রাক বর্ষায় বঙ্গোপসাগরের আচরণও হতে পারে বিরূপ। এপ্রিলে সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বঙ্গোপসাগরের ফরমেশন জোনগুলোতে অস্বাভাবিক আচরণে নি¤œচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিতে স্বাভাবিকতা নেই । আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, গত শীতের দৈর্ঘ্য সংক্ষিপ্ত হওয়ার পূর্বাভাস আগেই দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই শীত কার্যত বিদায় নেয়। ইতোমধ্যে তাপমাত্রা বাড়ছে। পূবালী বায়ু ও পশ্চিমা বায়ুর সংঘর্ষে কোথাও কোথাও ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ফেব্রুয়ারি-মার্চজুড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের আমেজ থাকে। কিন্তু এল নিনোর প্রভাবে শীতের আচরণ ছিল বিরূপ। শীত ঋতুর প্রাক ও পরবর্তীতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ছিল। শৈত্য প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শীতে প্রভাব পড়ে। উত্তর ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগরকেন্দ্রিক আবহাওয়া গবেষকদের পূর্বাভাস অনুযায়ী মার্চ-এপ্রিলে সাগরের অস্বাভাবিক আচরণের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রাজনিত কারণে মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখীর দাপট থাকতে পারে। অনুভূত হতে পারে প্রচ- গরম। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ। মার্চেই উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা উন্নীত হবে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রীতে। উত্তর এবং মধ্যাঞ্চলে দফায় দফায় আঘাত হানবে কালবৈশাখী এবং বজ্রবৃষ্টি। এপ্রিল মাসে তীব্র তাপপ্রবাহ মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এপ্রিলে মার্চের চেয়ে তিনগুণ বেশি বৃষ্টি হতে পারে। সিলেটে সর্বোচ্চ ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবাহ জুনে আসার পরই সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।
×