ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কোণঠাসা ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কোণঠাসা ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ  স্কটল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী দল, টেস্ট খেলুড়ে এলিট ক্লাবের পুরনো শক্তি। বিপরীতে স্কটল্যান্ড আইসিসির সহযোগী সদস্য। সুতরাং আজকের ম্যাচে (বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায়) নিশ্চিত ফেবারিট তারাই। কিন্তু টানা দুই হারে ইংলিশদের মধুসদন ত্রাহী অবস্থা! ‘এ’ গ্রুপ থেকে শেষ আটের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে তাই পুঁচকে স্কটিশদের নিয়েও ভাবতে হচ্ছে ইয়ন মরগানদের। প্রথমে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১১১ রানে, এরপর সহআয়োজক নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে ইংল্যান্ড। ২ খেলায় ২ হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা ইংলিশদের নেট রান রেট -৩.৯৫২! স্কটল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে ৩ উইকেটে। ইংল্যান্ড যাদের কাছে বিধ্বস্ত হয়, হারলেও সেই কিউদের চোখের ও নাকের জল একাকার করে ছাড়ে স্কটিশরা। চমৎকার খেলে মাত্র ১৪২ রানের পুঁজি নিয়েও স্বাগতিকদের ৭ উইকেট ফেলে দেয় স্কটল্যান্ড বোলাররা! দুই পেসার ইয়ান ওয়ার্ডল ও জস ডেভি নেন ৩টি করে উইকেট। সেদিনের আফসোসে এখনও পোড়েন প্রিস্টন মমসেনরা! ওই ম্যাচটিই তাদের জন্য হতে পারে বড় অনুপ্রেরণা। অধিনায়ক মমসেন যেমন বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে ভাল করতে হবে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। দলের সবাই জানে, সামর্থ্যরে সেরাটা দিতে পারলে যে কোন দলকেই হারানো সম্ভব!’ ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেয়ার সামর্থ্য আছে রিচি বেরিংটন আর ম্যাট ম্যাচানদের। দু’জনেই সেদিনের ভয়ঙ্কর প্রোটিয়া পেস আক্রমণের বিপক্ষে তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। নিজের দিনে কম যান না অধিনায়ক মমসেনও। সুতরাং পিচ্চি হলেও স্কটিশদের ছোট করে দেখার সুযোগ নেই ইংলিশদের। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পরও যাদের আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছিল, সেই তারাই এখন বিধ্বস্ত। অধিনায়ক ইয়ন মরগান যেমন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কাছে অমন হারের কোন ব্যাখ্যাই থাকতে পারে না। স্কটল্যান্ডকে হাল্কাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। আমরা সেরাটা দিতে প্রস্তুত। এখনও টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায়নি।’ স্কটল্যান্ড-আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের দিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা আর কেউটে বাংলাদেশের বিপক্ষেও সফল হতে হবে। সুতরাং আক্ষরিক-অর্থেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি হতে পারে ইংল্যান্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখার প্রথম ধাপ। শক্তি, সামর্থ্য, র‌্যাঙ্কিং সব বিচারেই এগিয়ে ইংলিশরা। তারকা পেসার জেমস এ্যান্ডারনসন যেমন বলেন, ‘আমাদের যে লাইনআপ তাতে যে কোন দলকে হারানোর ক্ষমতা আছে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে সব সম্ভব। বিশ্বকাপে ছোট দল বড় দল বলে কিছু নেই, আমরা বরং নিজেদের নিয়েই ভাবতে চাই। লক্ষ্য জয়ের ধারায় ফেরা।’ প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও আত্মবিশ্বাসে জ্বালানির রসদ খুঁজছেন মরগান। অধিনায়ক যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে আমরা তাদেরই মাটিতে টেস্ট সিরিজে ৪-০তে হোয়াইটওয়াশ করেছিলাম। কদিন আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতকে টপকে ফাইনালে খেলেছি।’ তা অবশ্য ঠিক। কার্লটন মিড ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে খেলে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে ফর্মে ফিরেছিলেন মরগান, আছেন জো রুট, জেমস টেইলর, ইয়ান বেলরা। বল হাতে বিশ্বের অন্যতমসেরা পেসত্রয় এ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড ও স্টিভেন ফিন। অলরাউন্ডার মঈন আলীর কথা আলাদা করে না বললেই নয়। একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে যার। আছেন ক্রিস ওকস, রবি বোপারার মতো অলরাউন্ডার। সুতরাং অঘটন বা অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে ম্যাচে ইংল্যান্ডই এগিয়ে থাকছে। ২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত ৩ ওয়ানডে খেলে ২টিতেই জয় ইংলিশদের। বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। গত বছর মে মাসে সর্বশেষ মুখোমুখি হয় দু’দল। বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে ৩৯ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো ইয়ান বেল আর ৪ উইকেট নেয়া জেমস ট্রেডওয়েল আছেন এখানেও। তবে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুতগতির কন্ডিশনে স্পিনার ট্রেডওয়েল একাদশে থাকবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।
×