ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ম নিয়ে অবস্থান পাল্টাতে বাধ্য হলেন মোদি

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ধর্ম নিয়ে অবস্থান পাল্টাতে বাধ্য হলেন মোদি

দিল্লী বিধানসভা নির্বাচন ও অনাবাসী ভারতীয়দের ভূমিকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধর্ম সম্পর্কে তাঁর অবস্থান পাল্টাতে বাধ্য করে। খ্রিস্টমান ইভে খ্রীস্টান গোষ্ঠীগুলোর নেতারা মোদির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ঘর ওয়াপসি ও গির্জাগুলোর ওপর হামলা নিয়ে তাঁদের আশঙ্কা প্রশমিত করার অনুরোধ করেন, কিন্তু মোদি এতে সম্মত হননি। খবর হিন্দু অনলাইনের। প্রধানমন্ত্রী মোদি মঙ্গলবার এক গির্জায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্মীয় সহনশীলতা ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। এটি ছিল গত তিন মাসের কয়েকটি ঘটনার চাপে মোদির পথ সংশোধনের এক দৃষ্টান্ত। মোদি ধর্মান্তকরণ ও গির্জা-প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হামলার বিরুদ্ধে কথা বলুন বলে খ্রীস্টানদের দাবি সত্ত্বেও তিনি নীরব থেকেছিলেন। এক খ্রীস্টান নেতা বলেন, ওই সব হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে অবহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী একদল ভারতীয় বড় ধরনের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালান এবং মোদিকে তাঁর নীরবতা ভঙ্গ করার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় জোরালো জনমতের প্রকাশ ঘটে। যাঁরা মোদির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে এক বিবৃতি দেয়ায় আহ্বান জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ওই নেতাও ছিলেন। ২৭ জানুয়ারি নয়াদিল্লীতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর জাতীয় প্রাতঃরাশ প্রার্থনাকালে ওবামার ভাষণ মোদির অবস্থানে পরিবর্তন এনে থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। দিল্লী নির্বাচনের ফলাফল মোদিকে তাঁর নীরবতা ভাঙ্গতে বাধ্য করেছে। এ নির্বাচনে আম আদমি পার্টি মোদির ভারতীয় জনতা পার্টিকে পরাজিত করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলবীর অরোরা বলেন, দিল্লীতে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিজেপি বড় ধরনের ঝাঁকুনি খায় এবং পথ সংশোধনের তাগিদ বোধ করে। সাম্প্রতিক কালের আগ পর্যন্ত মোদি এ মত পোষণ করতেন যে, সরকার প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কিন্তু মনোযোগ যাতে উন্নয়নের দিক থেকে অন্যদিকে পরিচালিত না হয়, সেজন্য কোন সম্প্রদায়ের পক্ষে বা ধর্মীয় ইস্যুতে তিনি কোন বিবৃতি দেবেন না। মঙ্গলবার মোদি যে কোন অজুহাতে যে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি তাঁর মন্তব্য টুইট করেন।
×