ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্লুমবার্গের মতামতে পূর্বাভাস

জ্বালানি তেলের দাম ১০ ডলারে নামতে পারে

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জ্বালানি তেলের দাম ১০ ডলারে নামতে পারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এক বছরে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে অনেক। চলতি বছরের জানুয়ারিতেও কমেছে। এসময় তা দাঁড়ায় ব্যারেল প্রতি ৫০ ডলারের নিচে। এরপর থেকে তা ৫০-৫৫ ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর দাম কী হতে পারে- সে ব্যাপারে ইতোমধ্যে অনেকেই পূর্বাভাস দিয়েছেন। কেউ বলছেন, তেলের দাম আর কমবে না; ৫৫ ডলারের মধ্যই অবস্থান করবে। আবার কেউ বলছেন দাম আরও বাড়তে পারে। গত মাসের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ঘোড়ার দৌড়ের গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ ডলারে উঠতে পারে। কিন্তু এবার তার উল্টো পূর্বাভাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ ও কলামিস্ট গ্যারি শিলিং। এই অর্থনীতিবিদ গ্যারি শিলিং এ্যান্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মনে করেন, আগামীতে তেলের দাম কমে একেবারে তলানিতে ঠেকতে পারে। এমনকি এই দাম হতে পারে ১০ থেকে ২০ ডলার। ‘তেলের দাম ১০ ডলারের জন্য প্রস্তুত থাকো’ শিরোনামে ব্লুমবার্গের মতামত পাতায় এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি। এর পেছনে যুক্তি তুলে ধরে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাজারে মূলত তেলের সরবরাহ বাড়ছে; তবে সে তুলনায় কমছে চাহিদা। এভাবে চলতে থাকলে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ১০ ডলারও হতে পারে। গ্যারি শিলিংয়ের ওই মতামত নিয়ে বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার। সেখানে এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত (ক্রুড) তেলের উৎপাদন দিনে ৩ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে দেশটিতে এই তেলের উৎপাদন দৈনিক ৯১ লাখ ব্যারেল। গ্যারি শিলিং বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস, নিউ টাইমস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো পত্রিকায়ও নিয়মিত কলাম লেখেন। তিনি বলছেন, ২০০৯ সালের মধ্য সময় থেকে মন্দা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়তে শুরু করে। কিন্তু ১৯৩০ সাল থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা তো আর হঠাৎই কাটানো সম্ভব নয়। এদিকে চীনের প্রবৃদ্ধিরও শ্লথগতি, ইউরো অঞ্চলের অবস্থাও ভাল নয়; জাপানের অবস্থা তো নেতিবাচক। অন্যদিকে বর্তমানে তেলের উৎপাদনও যথেষ্ট। ওপেকও তাদের তেলের উৎপাদন না কমানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। ফলে অনেকটা স্পষ্ট কেন বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কম বা আরও কমতে পারে। ওই মতামত পাতায় গত এক বছরে অপরিশোধিত তেলের দরপতনের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়।
×