ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হরতাল অবরোধ অবৈধ ঘোষণা চেয়ে আদালতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

হরতাল অবরোধ অবৈধ ঘোষণা চেয়ে আদালতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হরতাল-অবরোধকে অবৈধ ঘোষণা ও এর ক্ষতিপূরণ দাবি করে উচ্চতর আদালতে যাচ্ছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার বিকেলে বিটিএমএ কার্যালয়ে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সংগঠনগুলোর এক জরুরী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী। সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আজকের সভায় এ ব্যাপারে আমরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইনী ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি। তবে, কবে নাগাদ এই রিট ফাইল করা হবে এ ব্যাপারে আগামী সপ্তাহের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি বলেন, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ছাড়াও ছোট, মাঝারি, বড় শিল্প ও শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের সঙ্গে সংযুক্ত আছে। বেঁচে থাকার লক্ষ্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই এ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এখন আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি কিভাবে সরকারের কাছে এ বিষয়গুলো উত্থাপন করব। যাতে আর কোন শিল্পই রুগ্ন শিল্পে পরিণত না হয়। সভা শেষে বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই আজ ছিল। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ব্যাংক ও কাস্টমস সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে তাদের প্রত্যেকের বর্তমান সমস্যার কথা আমরা জানব। কেউ ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে পারছে না, কেউ বেতন দিতে পারছে না আবার অনেকে এলসি খুলতে পারছে না। সবার এসব সমস্যা নিয়ে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেব। এতে উল্লেখ করব এ অবস্থায় আমাদের কি কি সুবিধা দিতে হবে বা পরবর্তী বাজেটে আমরা কি কি সুবিধা চাই। আইনী পদক্ষেপের বিষয়ে বিজিএমইএ’র আইন উপদেষ্টা ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম বলেন, রিটে আমাদের প্রধান দাবি থাকবে হরতাল ও অবরোধকে অবৈধ ঘোষণা করা এবং হরতাল ও অবরোধে যে সব ক্ষতি হচ্ছে, এ জন্য কারা দায়ী বা এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এ জন্য আইনী ফাঁকফোকর বের করতে আমাদের পর্যালোচনা চলছে। তিনি বলেন, আমাদের এ দাবি সংবিধানসম্মত এবং সংবিধান অনুযায়ী আমরা এই রিট করব। আমরা আশাবাদী উচ্চতর আদালতে আমাদের পক্ষে রায় পাব। এ সময় তিনি জানান, হরতাল বন্ধে ১৫ বছর আগের একটি রিটের রায় আছে, তা বিবেচনায় রেখে তারা আইনী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন।
×