ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হ্যাটট্রিকের রেকর্ডে রোনাল্ডোর পাশে মেসি

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

হ্যাটট্রিকের রেকর্ডে রোনাল্ডোর পাশে মেসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ৩০০তম ম্যাচে অসাধারণ কীর্তি গড়লেন লিওনেল মেসি। রবিবার রাতে স্প্যানিশ লা লীগায় বার্সিলোনার হয়ে নিজের ৩০০তম ম্যাচে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন তারকা। ঘরের মাঠ ন্যুক্যাম্পে লেভান্তেকে ৫-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয়া ম্যাচে রেকর্ড হ্যাটট্রিক করেন মেসি। ২৩ নম্বর হ্যাটট্রিক করে লা লীগায় সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের দৌড়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছুঁয়েছেন বার্সা জাদুকর। মেসির রেকর্ডের রাতে ক্যাটালানদের হয়ে মাঠ মাতান নেইমার ও সুয়ারেজ। এ দু’জনও গোল করে নিজেদের বোঝাপড়া আরও জমিয়ে তুলেছেন। বার্সিলোনা উড়লেও আকাশ থেকে পতন হয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা আগের ম্যাচেই ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারায় পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদকে। অথচ এক ম্যাচ পরই সেল্টা ডি ভিগোর কাছে ২-০ গোলে হেরেছে অ্যাটলেটিকো! এই হারে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ল অ্যাটলেটিকো। ২৩ ম্যাচ খেলে রিয়ালের পয়েন্ট ৫৭। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অ্যাটলেটিকো। আর দুর্দান্ত জয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান এক পয়েন্টে আনল বার্সিলোনা। ক্যাটালানদের পয়েন্ট এখন ৫৬। চেনা মাঠে প্রতিপক্ষের জালে ১৪ গোল করার আত্মবিশ্বাস তো ছিলই, সঙ্গে আবার মেসির লা লীগায় ৩০০তম ম্যাচ। গৌরবময় এই মাইলফলকে পৌঁছানোটাকে হ্যাটট্রিক করেই উদযাপন করেছেন চারবারের ফিফা সেরা তারকা। এই হ্যাটট্রিক করে রোনাল্ডোকে স্পর্শ করেছেন বার্সিলোনা ফরোয়ার্ড। লা লীগায় দুই মহাতারকার হ্যাটট্রিক সংখ্যাই এখন ২৩। অথচ কিছুদিন আগেও দুই হ্যাটট্রিকে এগিয়ে ছিলেন রিয়াল তারকা। তিন গোল করে চলমান মৌসুমে লীগের সেরা গোলদাতা হওয়ার লড়াইটা আরও জমিয়ে তুললেন মেসি। এখানেও তার লড়াইটা সি আর সেভেনের সঙ্গেই। ২৮ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। দুই গোল কম নিয়ে তারপরই আছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রোনাল্ডোকে পেছনে ফেলেছেন মেসি। এখানে মেসির ৩৭ গোলের বিপরীতে রোনাল্ডোর গোল ৩৬। লা লীগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটা আগেই নিজের করে নেয়া মেসির এ আসরে গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৯। গত বছরের নবেম্বরে সেভিয়ার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে লীগের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের করে নেন মেসি। ন্যুক্যাম্পে বার্সিলোনা প্রথম দশ মিনিটে কিছুটা এলোমেলো ফুটবল খেললেও ছন্দ ফিরে পেতে দেরি হয়নি। ১৭ মিনিটে নেইমারের গোলে শুরু হয় গোলোৎসব। ডান দিক থেকে মেসির বাড়ানো পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লেভান্তের গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক। চলমান মৌসুমে লীগে নেইমারের এটা ১৭ নম্বর গোল। সেরা গোলদাতাদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন তিনি। এরপর শুরু হয় মেসি জাদু। ৩৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের ভুলে বল পান ডিফেন্ডার মার্ক বাট্টা। তার কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন মেসি। বিরতির পর ছয় মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। ৫৯তম মিনিটে পেড্রোর কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন দলের সেরা তারকা। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের চতুর্থ ও নিজের তৃতীয় গোলটি করেন মেসি। অতিথি ডিফেন্ডার ইভান নিজেদের ডি বক্সে নেইমারকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বার্সিলোনা। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে স্বাগতিকদের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন লুইজ সুয়ারেজ। বামপ্রান্ত থেকে আদ্রিয়ানোর দারুণ ক্রসে অসাধারণ ভঙ্গিমায় বাইসাইকেল কিকে গোলটি করেন উরুগুইয়ান তারকা। ম্যাচ শেষে সবাই মেসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। নেইমার বলেন, আমি খুব খুশি এ জয়ে। মেসির মতো খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলা সৌভাগ্যের। আমাদের বোঝাপড়া চমৎকার হচ্ছে। মেসি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
×