ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাদশাকে সর্বস্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে  বাদশাকে সর্বস্তরের  শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রবিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক আমিনুল হক বাদশাকে। বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম প্রেস সেক্রেটারিকে নিবেদন করা হয় সর্বস্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তত্ত্বাবধানে এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সেখানে বাদ আছর তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে রাখা হয় বারডেমের হিমঘরে। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁর দীর্ঘদিনের চেনা আঙিনা জাতীয় প্রেসক্লাবে রাখা হবে মরদেহ। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে মরহুমের লাশ কুষ্টিয়া শহরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। রবিবার লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দুপুর ১২টায় আমিনুল হক বাদশার মরদেহ এসে পৌঁছে হযরত শাহ্্জালাল (রহ.) বিমানবন্দরে । রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর পাশাপাশি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় আমিনুল হক বাদশাকে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে হাজির হন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন প্রমুখ। এছাড়াও সাংগঠনিকভাবে শ্রদ্ধা জানায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদসহ নানা সংগঠন। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। মরহুমের এক ভাইও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমিনুল হক বাদশা ছিলেন দেশের সম্পদ। সাংবাদিক পরিচয়ের বাইরে তাঁর আরেক পরিচয় ছিল তিনি ছিলেন তুখোড় ছাত্রনেতা। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে রেখেছেন অনন্য ভূমিকা। সবাই সময়ের দাবি অনুযায়ী সঠিক কাজটি করতে পারেন না। কিন্তু তিনি সময়ের স্রোতধারায় পালন করেছিলেন সঠিক দায়িত্ব। আমিনুল হক বাদশা গত ১০ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা ও নাগরিক শোকসভা ১৩ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। মরহুম বাদশার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বিশিষ্ট লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সেখানকার কর্মসূচী সমন্বয় করেছেন। স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, ৫ ভাই, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন প্রয়াত বাদশা।
×