ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘোড়াশাল বিদ্যুতকেন্দ্রে দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি দুদক

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ঘোড়াশাল বিদ্যুতকেন্দ্রে দুর্নীতির প্রমাণ  পায়নি দুদক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘোড়াশাল বিদ্যুতকেন্দ্রের ৬ নম্বর ইউনিটে ‘বিদ্যুত রি-পাওয়ারিং মেরামত প্রকল্পের’ নামে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে ১১ জানুয়ারি এ অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুর্নীতির কোন তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় কমিশন এ অভিযোগ নথিভুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছে। দুদক সূত্র জনকণ্ঠকে এটা নিশ্চিত করেছে। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে দুদক এ অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান এ অভিযোগ অনুসন্ধান করে ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর অভিযোগ নথিভুক্তির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ পর্যালোচনা করে কমিশন ১১ জানুয়ারি এ অভিযোগ নথিভুক্তি করেছে। নতুন একটি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, এর চেয়েও বেশি ব্যয়ে পুরনো কেন্দ্র সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। উক্ত অভিযোগে বলা হয়, ঘোড়াশাল ৬ নম্বর ইউনিট রি-পাওয়ারিংয়ের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। যেখানে ভূমি অধিগ্রহণ ও কেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে উৎপাদনে যাওয়া পর্যন্ত মেগাওয়াট প্রতি ব্যয় হয় প্রায় ছয় কোটি টাকা। সেই হিসেবে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্র স্থাপনে খরচ হয় ৬০০ কোটি টাকা ও ৫০০ মেগাওয়াটে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন, বেজমেন্ট নির্মাণ এ সব খাতে কোন ব্যয় না থাকার পরও ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়াশাল ৬ নম্বর ইউনিটের রি-পাওয়ারিং ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১২ সালে ইপিসি কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ঘোড়াশাল ৬ নম্বর ইউনিটের কাজ সম্পন্ন করার শর্তে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তখন একটিমাত্র দরপত্র জমা পড়ায় সেটি অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফের দরপত্র আহ্বান করার মাধ্যমে কনসোর্টিয়াম অব এ্যালোসথাম (সুইজারল্যান্ড) লিমিটেড ও সিএমসি চায়নাকে কাজ দেয়া হয়। দরপত্রে এমন সব শর্ত রাখা হয়েছিল যে, এই বিশেষ দুটি কোম্পানি ছাড়া অন্য কেউ অংশ নিতে পারেনি।
×