ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্থ পাচার মামলায় দুদকের তদন্ত টিম গঠন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অর্থ পাচার মামলায় দুদকের তদন্ত টিম গঠন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগে নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা তদন্তে দুই সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রবিবার কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন টিমের অপর সদস্য হলেন উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। এ ছাড়া মামলা তদন্তে দুদকের পরিচালক নূর আহাম্মদকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দুদক সূত্র জনকণ্ঠকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদক সূত্র জানায়, ৫৬ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ৮২ টাকা, তিন লাখ ৪০ হাজার ২৩৭ মার্কিন ডলার ও দুই লাখ ১৭ হাজার ৫০০ ইউরো সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নাসির প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ২০১৩ সালের ২৬ জুন থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট দুই লাখ ৫৫ হাজার ২৩৭ ডলার ও দুই লাখ ১৭ হাজার ৫০০ ইউরো বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নাসির গ্রুপের নাসির লিফ টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে টোব্যাকো ট্রেডিং এ্যান্ড সার্ভিসেসের (টিটিএস) প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডে ৩৫ হাজার ইউএস ডলার হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই এক্সপ্রেস টিটির (ভাউচার নম্বর ১১৮৫১৯৫১৭৫) মাধ্যমে হংকংয়ে এসপিসি ট্রেডিং লিমিটেডের কাছে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এভাবে সর্বমোট তিন লাখ ৪০ হাজার ২৩৭ মার্কিন ডলার ও দুই লাখ ১৭ হাজার ৫০০ ইউরো বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দুটি এ্যাকাউন্ট থেকে ১৩৮ কোটি টাকা বিভিন্ন মানুষকে দেয়া হয়েছে। যার বেশিরভাগ অংশ বিভিন্ন হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়। ২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখায় নাসির গ্রুপের নাসির লিফ টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও নাসির প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে পরিচালিত দুটি এ্যাকাউন্ট থেকে ৫৫ কোটি ৬৭ লাখ চার হাজার ৫৮৪ টাকা পাচার করা হয়েছে। নাসির গ্রুপের মোট ১০ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান নাসির গ্রুপের নাসির লিফ টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও নাসির প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সম্পর্কে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
×