ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শুরুতেই ফিনের হ্যাটট্রিক!

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

শুরুতেই ফিনের হ্যাটট্রিক!

মোঃ মামুন রশীদ ॥ দলের মোক্ষম অস্ত্র তিনি হয়ে উঠতে পারেননি এখনও। ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং বিভাগে অন্যতম পেস স্তম্ভ জেমস এ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। তবে এ দুই অভিজ্ঞ ও অপরিহার্য পেসারকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন স্টিভেন ফিন। কারণ বিশ্বকাপ শুরুর আগে হওয়া কার্লটন মিড ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে তিনি গতির ঝড় তুলেছিলেন। তাই এবার বিশ্বকাপে ভয়ঙ্কর পেসারদের তালিকায় ফিন ছিলেন অন্যতম। সেটাই যেন একেবারে উদ্বোধনী ম্যাচেই প্রমাণ করে দিলেন তিনি। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের বিরল গৌরব দেখিয়েছেন তিনি। শনিবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফিন এ কৃতিত্ব দেখান। তবে তিনি যখন এ কীর্তি গড়েছেন ততক্ষণে রানের পাহাড়ে উঠে গেছে অসিরা। একেবারে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শেষ তিন বলে তিনি একে একে শিকার করেন ব্র্যাড হ্যাডিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল জনসনকে। সবমিলিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসে এটি ৩৭তম ও বিশ্বকাপের অষ্টম হ্যাটট্রিকের ঘটনা হলেও ইংল্যান্ডের পক্ষে মাত্র চতুর্থ। বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার করে নিজেকে ভালভাবে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসেন ২৫ বছর বয়সী ফিন। এবার বিশ্বকাপে এ গতি তারকা যে ঝড় তুলবেন সেটা নিশ্চিতই ছিল। তবে বিশ্বকাপের মতো একটি বড় মঞ্চে নিজের অভিষেকেই বিস্ময়কর কৃতিত্ব দেখাবেন এটাই অস্বাভাবিক। তবে সেই অস্বাভাবিক ঘটনারই জন্ম দিয়েছেন ৫৩ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফিন। ৩৮ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ছিল দারুণ এক অবস্থানে। ৪ উইকেটে ২২৮ রান তুলে ফেলেছিল তারা। ততক্ষণে নিজের বিশ্বকাপ অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ফিন বোলিং করে ফেলেছেন ৬ ওভার। তবে একেবারেই পাত্তা পাননি। তাকে পিটিয়ে অসি ব্যাটসম্যানরা আদায় করে নিয়েছিলেন ৪০ রান। তবে এরপরই যেন বোল পাল্টে ফেলেন ফিন। ভয়ঙ্কর এক স্পেলের শুরু ৩৯তম ওভারে অসি অধিনায়ক জর্জ বেইলিকে ফিরিয়ে দিয়ে। এরপর আর কোন বোলার পাত্তা না পেলেও টানা ৫ উইকেট গেছে ফিনের ঝুলিতেই। ৪৬তম ওভারে ফিরেই তিনি সাজঘরে পাঠান মিচেল মার্শকেও। তবে এরপর উইকেট পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত শেষ ওভারে চতুর্থ বলে হ্যাডিনকে ব্রডের ক্যাচে পরিণত করা দিয়ে নতুন বিস্ময় সৃষ্টির শুরু। প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইকে আসা ম্যাক্সওয়েল পরের বলেই ক্যাচ দিলেন জো রুটকে। ষষ্ঠ ও শেষ বলে জনসনকেও ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন তিনি। পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিকের ম্যাজিক ফিগার। সবমিলিয়ে ১০ ওভারে ৭১ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। গত বিশ্বকাপে দুটি হ্যাটট্রিক দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। এবার প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক দিয়ে শুরু হলো। ফাইনাল পর্যন্ত আরও চমক অপেক্ষা করছে সেটারও যেন আভাস পাওয়া গেল এখান থেকে।
×