ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সহিংসতায় ঋণমান সূচক কমতে পারে ॥ মুডিস

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সহিংসতায় ঋণমান সূচক কমতে পারে ॥ মুডিস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিএনপি জোটের ডাকে গত ৩৯ দিন ধরে চলে আসা অবরোধ ও নাশকতা অব্যাহত থাকলে আন্তর্জাতিক ঋণমান সূচকে বাংলাদেশের অবনমন ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে শীর্ষস্থানীয় ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডিস। মুডি’স-এর সূচকে বাংলাদেশ গত চার বছর ধরে ‘বিএ-৩’ রেটিং ধরে রেখেছে যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বীকৃতি। গত ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধে সহিংসতার পাশাপাশি পণ্য পরিবহন, ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যে বিঘœ ঘটছে, মুডিস সেই পরিস্থিতিকে চিহ্নিত করেছে ‘ক্রেডিট নেগেটিভ’ হিসেবে। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, চলমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মুডিস বলছে, এর আগেও নির্বাচন ঘিরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে, তবে অর্থনীতির ওপর তার প্রভাব ছিল স্বল্পমেয়াদী। কিন্তু এবার বিক্ষোভের সঙ্গে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, তা চলছে দীর্ঘ সময় ধরে।মুডিসের বিবৃতিতে বলা হয়, অতীতে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যে খুব একটা পড়তে দেখা না গেলেও এবার গুরুত্বপূর্ণ এ খাতটি দুর্বল হতে শুরু করেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২.১ শতাংশ হারে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫.১ শতাংশ। অব্যাহত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি ছাড়াও অবরোধের ফলে পোশাক খাতের রফতানি পণ্য সময়মতো বন্দরে পাঠিয়ে জাহাজে তোলার কাজ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। মুডিস বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বর্ধিত ঋণ সুবিধার শর্ত অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার বিষয়টিও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে মূল্য সংযোজন করের নতুন কাঠামো তৈরি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়টিও রয়েছে। অবশ্য চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ ও বৈদেশিক লেনদেনে বড় ধরনের কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি বলে মুডিসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে রিজার্ভে ছিল ২২.২ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে এই সময়ে রিজার্ভে ২০.৭ বিলিয়ন ডলার ছিল। আর বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনার পরিমাণ জিডিপির ২০.৭ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে কম বলেই বিবেচনা করা হয়।
×