ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফাইনালের সুবাস পাচ্ছে বার্সিলোনা

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ফাইনালের সুবাস পাচ্ছে বার্সিলোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সহজ জয়ে স্প্যানিশ কোপা ডেল’রে ফুটবলের ফাইনালের সুবাস পাচ্ছে বার্সিলোনা। বুধবার রাতে আসরের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে কাতালানরা ৩-১ গোলে পরাজিত করে অতিথি ভিয়ারিয়ালকে। ঘরের মাঠ ন্যুক্যাম্পে বার্সার হয়ে গোল করেন লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জেরার্ড পিকে। ভিয়ারিয়ালের একমাত্র গোলটি করেন মানু ত্রিগুয়েরোস। একই দিন শেষ চারের প্রথম লেগের আরেক ম্যাচটি ড্র হয়েছে। এ্যাথলেটিক বিলবাও ও এস্পানিওলের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে। প্রথম লেগের সহজ জয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে বার্সা। আগামী ৪ মার্চ সেমির দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের মাঠে খেলবে আসরের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নরা। একই দিন এস্পানিওল ও এ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মধ্যে আরেক সেমির বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলার জোর সম্ভাবনা মেসি, নেইমার, সুয়ারেজদের। বাজে সময় কাটিয়ে এখন দারুণ ছন্দে আছে বার্সিলোনা। দলটির সেরা তিন তারকার মধ্যে বোঝাপড়াও জমে উঠেছে। গত সপ্তাহে এই ভিয়ারিয়ালের বিরুদ্ধে দুইবার পিছিয়ে পড়েও ৩-২ ব্যবধানে জেতার সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে নেমেছিল কাতালানরা। তবে আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না ভিয়ারিয়ালেরও। টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর বার্সার কাছে হারলেও গত শনিবার গ্রানাডাক হারিয়ে ফের জয়ে ফেরে দলটি। এ কারণে ঐতিহ্য আর শিরোপা সাফল্যে বার্সিলোনা ও ভিয়ারিয়ালের মাঝে বিস্তর ফারাক থাকলেও ম্যাচটা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল। প্রথম ৫০ মিনিট তেমনই হয়। লড়াই হয় সেয়ানে সেয়ানে। তবে এরপর আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি ভিয়ারিয়াল। ম্যাচের শুরুতে দু’দলই অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। বার্সিলোনা বল দখলের পাশাপাশি বার বার আক্রমণে উঠলেও প্রথম ২৫ মিনিটে কোন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। ২৬ মিনিটে ডান দিক থেকে গোলমুখে দারুণ একটি ক্রস দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু সুয়ারেজ, পেড্রোর কেউই পা ছোঁয়াতে পারেননি। ৩২ মিনিটে স্বাগতিকদের ফরাসী ডিফেন্ডার জেরেমি ম্যাথিউ একবার জালে বল জড়িয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করা হয়। ৪১ মিনিটে প্রথম গোল পায় বার্সিলোনা। প্রতিপক্ষের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মাটেওর ভুলে বল পান সুয়ারেজ। এরপর বাঁ দিক থেকে দৌড়ে তিনি পাস দেন মেসিকে। ডি বক্সের সামনে থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়। ৪৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতেন সুয়ারেজ নিজেই। কিন্তু বাঁ দিক থেকে মিডফিল্ডার ইনিয়েস্তাার দেয়া ক্রসে পা লাগাতে ব্যর্থ হন উরুগুইয়ান তারকা। বিরতির পর ম্যাচ দারুণ উপভোগ্য হয়ে ওঠে। ৪৮ মিনিটে স্বাগতিকদের ভুলের সুযোগে ম্যাচ সমতা ফেরায় ভিয়ারিয়াল। প্রথমে সুয়ারেজের ভুলে বল পান অতিথিদের মিডফিল্ডার ত্রিগুয়েরোস। কোনাকুনি এগিয়ে ডান পায়ের জোরালো শট নেন স্পেনের এই খেলোয়াড়। তবে বলের লাইনেই ছিলেন বার্সলোনার গোলরক্ষক। কিন্তু তার হাত ফসকে বল জালে প্রবেশ করে। তবে বার্সাকে ফের এগিয়ে নিতে বিলম্ব করেননি ইনিয়েস্তা। পরের মিনিটেই সুয়ারেজের পাস থেকে গোল করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। ৬৪ মিনিটে মেসির কর্নার কিক থেকে হেড করে দলের পক্ষে তিন নম্বর গোল করেন ডিফেন্ডার পিকে। ৭০ মিনিটে নিজেদের ডি বক্সে ভিয়ারিয়ালের ডিফেন্ডার মাটেও হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় বার্সিলোনা। কিন্তু নেইমারের নেয়া পেনাল্টি শট রুখে দেন অতিথি গোলরক্ষক। মেসি থাকতে নেইমার কেন পেনাল্টি শট নিলেন। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের জবাবে বার্সিলোনাা কোচ লুইস এনরিকে বলেন, যারা পেনাল্টি নেবে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করি আমরা। কিন্তু (মাঠে) তারাই সিদ্ধান্ত নেয়। লিওই আমাদের পেনাল্টি নেয়। নেইমার দ্বিতীয় জন। আমি নিশ্চিত, ওরা এ নিয়ে কথা বলেছে। তবে দলের পারফর্মেন্সে খুশি কোচ বলেন, আমি মনে করি, আমরা রক্ষণে বসে থাকা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভাল একটি ম্যাচ খেলেছি। ফলটি আমাদের জন্য ভাল।
×