রশিদ মামুন ॥ ২০১৭ সাল পর্যন্ত উৎপাদনে আসা বিদ্যুত কেন্দ্রে দৈনিক এক হাজার ছয় মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দিতে সম্মত হয়েছে পেট্রোবাংলা। নির্মাণাধীন বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস দেয়া নিয়ে পিডিবি এবং পেট্রোবাংলার মধ্যে দীর্ঘদিন আলোচনা চলছিল। অবশেষে বিদ্যুত এবং জ্বালানি বিভাগের উদ্যোগে সমস্যার সমাধান হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ বলছে, প্রতিশ্রুত বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে তারা গ্যাস দেবে। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, আগামী দুই বছর পর বিদ্যুত কেন্দ্রে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে দুই হাজার ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসায় পেট্রোবাংলা বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের সুপারিশ করে। এছাড়া পেট্রোবাংলা বিভিন্ন সময়ে গ্যাসভিত্তিক আর কোন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ না করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করে। এর প্রেক্ষিতে বিদ্যুত বিভাগ পিডিবি এবং পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে। দেশে কি পরিমাণ গ্যাস রয়েছে এবং কোন কোন বিদ্যুত কেন্দ্রে গ্যাস দেয়া যায় তা যাচাই করে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়। পেট্রোবাংলা বলছে, ২০১৫ সালে নতুন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রে ৩০১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে। পরের বছর আরও ৩১৭ এবং ২০১৭-তে নতুন কেন্দ্রর জন্য ২৮২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে। এসব বিদ্যুত কেন্দ্রর বেশিরভাগেরই নির্মাণ চলছে। বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায় বুধবার নতুন বিদ্যুত কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিদ্যুত সচিব মনোয়ার ইসলাম নতুন বিদ্যুত কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহর জন্য জ্বালানি বিভাগের সহায়তা চান। এ সময় তিনি বিবিয়ানায় স্থাপিত বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর জন্য পেট্রোবাংলার প্রতিশ্রুতির কথা জানান। নির্মাণাধীন বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে সময়মতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়া গেলে উৎপাদন বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা করা হয় পিডিবির পক্ষ থেকে। বিবিয়ানা-১ এবং ২ নম্বর কেন্দ্রের জন্য দৈনিক ১১০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং বিবিয়ানা-৩ বিদ্যুত কেন্দ্রর জন্য দৈনিক ৪৫ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হবে বলে পিডিবির তরফ থেকে জানানো হয়।