ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্থ পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এইচএসবিসি

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অর্থ পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এইচএসবিসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হংকংয়ে নিবন্ধিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংক দি হংকং এ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (এইচএসবিসি) মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্যাংকের কর্মকর্তারা। টাকা পাচারের কোন তথ্য বাংলাদেশের অফিসগুলোতে নেই দাবি করে বিদেশী ব্যাংকের এই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত এইচএসবিসির প্রধান শাখা থেকেই এই তথ্য পাওয়া যাবে। তবে অর্থ পাচারের তথ্য অনুসন্ধানে ব্যাংকটির সব শাখা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে এইচএসবিসি বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের তথ্য দেয়ার জন্য সুইস ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) ও এইচএসবিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ মাহফুজুর রহমান এসব কথা বলেন। মাহফুজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, এইচএসবিসি কর্মকর্তারা অর্থ পাচারের কোন তথ্য দেননি। তারা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমগুলোর দেয়া তথ্য মতে, ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার পাচার করা হয়েছে। এত আগের কোন তথ্য বাংলাদেশের অফিসগুলোতে নেই। সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত এইচএসবিসির প্রধান শাখা থেকে এই তথ্য পাওয়া যাবে। বিএফআইইউ’র উপ-প্রধান বলেন, বাংলাদেশে এইচএসবিসির সব শাখা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কোন অসঙ্গতি পাওয়া গেলে আন্তর্জাতিক ওই ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, শাখা পরিদর্শনের পাশাপাশি এইচএসবিসি বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের তথ্য দেয়ার জন্য সুইস ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, এগমন্ট গ্রুপের মাধ্যমে দেশ থেকে কারা এইচএসবিসির মাধ্যমে টাকা পাচার করেছে তাদের সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করা হবে।
×