ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছন্দ হারিয়েছে শীত, শহরজুড়ে ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার দাপট

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ছন্দ হারিয়েছে শীত, শহরজুড়ে ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার দাপট

কাওসার রহমান ॥ বাঘ পালানো শীতের এবার আর দেখা মিলল না। শীতের রাজা মাঘ এবার বিদায় নিল চুপিসারে। ঘূর্ণাবর্ত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোনটাই স্থায়ী না হওয়ায় শীত এবার ছন্দ হারিয়েছে। দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা। দু’বেলার তাপমাত্রার ফারাক চমকে দেয়ার মতোই। ঋতু পরিবর্তনের এই অদ্ভুত সময়ে শহরজুড়ে শুরু হয়েছে ভাইরাসের দাপাদাপি। ঘরে ঘরে রোগভোগ-জ্বর, সর্দি, কাশি। চিকিৎসকরা বলছেন, এবার শীতের রুটিন বেশিমাত্রায় ছন্দছাড়া। তাই এ ধরনের রোগের প্রকোপ এবার বেশি। শীতকালে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ে। তাই যাদের শ্বাসকষ্ট বা এলার্জির সমস্যা আছে, তাদের নাক ঢাকতে রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। শুধু শীতের ছন্দই নয়, ষড়ঋতুর এই দেশে ঋতুবৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্ম ও বর্ষা একদিকে প্রলম্বিত হচ্ছে, অন্যদিকে শীতকাল সঙ্কুচিত হচ্ছে। শরত ও হেমন্তের অস্তিত বিলুপ্তপ্রায় । এ বছর শীত একের পর এক বাধার মুখে পড়েছে। নিম্নচাপ-মেঘলা ভাব-বৃষ্টিতে এবং বেশিরভাগ সময়েই উধাও ছিল শীত। ফলে শীতের ব্যাটে চার-ছক্কার দেখা মেলেনি। পুরো মৌসুমে দেখা যায়নি কনকনে হাড়কাঁপানো শীতের দাপট। হঠাৎ উত্তুরে হাওয়া, আবার হঠাৎ গরম। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় এবার বিভ্রান্ত হয়েছে চাষীরাও। শীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীত একেবারে বিদায় না নিলেও আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা চলবেই। যার প্রভাবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে অনেকটা ফারাক দেখা দিচ্ছে। শীতের এই ওঠা-নামায় এবার নানা জীবাণুুবাহিত রোগের প্রকোপও বেশি। ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর। এমন অদ্ভুত আবহাওয়ায় শরীর স্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত। সামান্য অসাবধান হলেই ঠা-া লেগে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা শোচনীয়। চিকিৎসক মহলের মতে, এমন আবহাওয়ায় বেশিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়েছে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। যার প্রভাবেই জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ছে। সঙ্গে শরীরজুড়ে ব্যথা। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং হঠাৎ করে ঠা-া যাতে না লাগে তার জন্য বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার জ্বও, সর্দি, কাশি, হাঁপানী, এ্যাজমা ও ব্রঙ্কিওনিউমোনিয়া রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রতি ১০ জন রোগীর মধ্যে ৪ জনই জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগছেন। বাচ্চা বয়স্ক- দুই বয়সেই এ রোগ হচ্ছে। তাই এ সময়টা খুব সাবধানে থাকতে হবে। ধুলাবালি কিংবা ঠা-া জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। একবার রোগ হয়ে গেলে প্রচুর পানি খেতে হবে। এতে আরাম হবে। তিনি বলেন, ‘এ সকল রোগের সঙ্গে এ বছর ব্রেনস্ট্রোকের সংখ্যাও অত্যধিক বেশি দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে এখনও ঋতু পরিবর্তনের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবন ও ধূমপান না করার পরামর্শ দিয়েছেন।’ চিকিৎসকদের মতে, দিন আর রাতের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই ভাইরাস ও এ্যালার্জির সংক্রমণ বাড়ছে। বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি তো হচ্ছেই, সঙ্গে এক ধরনের শুকনো কাশি। কখনও কখনও প্রচলিত ওষুধে কাজ হচ্ছে না। স্যালবিউটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে নেবুলাইজার করতে হচ্ছে। প্রতি বছর ঋতু পরিবর্তনের সময় এ ধরনের রোগগুলো হয়। তবে এবার একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে। এ বছর শীতের ব্যাটে তেমন একটা চার-ছক্কার দেখা মেলেনি। যদিও অন্য বছরের চেয়ে এবার একটু আগেভাগে শীত শুরু হয়েছে। কিন্তু পুরো মৌসুমটাই চলেছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এ বছর যেমন সময়ের বেশ আগেই শীত পা রেখেছে, আবার বিদায়ও নিয়েছে আগেভাগেই। গোটা পৌষ-মাঘ মাসেই বার বার ছন্দপতন ঘটেছে শীতের। দু’-এক দিন শীত পড়লেও তা দীর্ঘায়িত হয়নি। দু’-এক দিনের শীতে কাবু না করতেই হঠাৎ করে আবার উধাও হয়েছে। এ বছর তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে দেশের ওপর দিয়ে। এর মধ্যে একটি তীব্র হলেও বাকি দুটি ছিল মাঝারি গোছের। কাশ্মীরের বরফ-ছোঁয়া বাতাসে ভর করে বীর বিক্রমে শীত নেমে এলেও মাত্র দু’-তিন দিনেই তার ডানা ভেঙ্গে যায়। উত্তরের জেলাগুলোতে কিছুটা দাপট দেখালেও শহর পর্যন্ত তার রেশ পৌঁছেনি। বরং শীতের মাঝেই নিম্নচাপ, মেঘলা ভাব এমনকি বৃষ্টির দেখা মিলেছে। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, পৌষ সংক্রান্তি শেষ হতে না হতেই পাততাড়ি গোটাতে শুরু করে শীত। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় রীতিমতো শীতের চরিত্র বদল হয়ে যাচ্ছে। শীতে আর শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে না, শীতে বইছে ফাল্গুনের ঝিরিঝিরি বাতাস। আর মাঘের শেষে ফাল্গুনের শুরুতে দিনের বেলায় গ্রীম্মের মতো রীতিমতো ঘাম ঝরানোর মতো অবস্থা, আর রাত হলেই ঠা-া হাওয়া বিরাজ করছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের পরিবেশ বিরোধী নানা রকম ক্রিয়াকলাপের ফলে বায়ুম-লের নিচের স্তরে উষ্ণতা বেড়ে গিয়ে তা প্রভাবিত করছে পৃথিবীর জলবায়ুকে। এটি তারই প্রভাব। এতে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি, পরিমাণ এমন কি ‘ঋতুছন্দ’ও। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে এখন আর ঋতুবৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায় না। কখনও বর্ষা আসছে দেরিতে, মাঝে মধ্যে হেমন্ত ঋতুর দেখাই মেলে না। শীত কখন আসে কখন যায় শহরের মানুষ টের পায় না। ৩০ বছর আগেও চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রচ- গরম পড়ত। আষাঢ়-শ্রাবণে ভারি বৃষ্টি হতো। একটানা পাঁচ-ছয় দিনের বৃষ্টিতে মানুষ ঘরে বসে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ হয়ে যেত। কার্তিক মাসে ঘন কুয়াশা পড়ত। বৈশাখে শিলাবৃষ্টিসহ হাল্কা বৃষ্টি হতো। এখন আষাঢ় মাসকে আর আষাঢ় বলে মনে হয় না। বর্ষায় একটানা বৃষ্টিপাত এখন যেন অতীত স্মৃতি। কখনও কখনও শরতে এক দু’দিনের ভারি বৃষ্টিতে বন্যায় ডুবে যায় মাঠের ফসল। এখন আর হেমন্ত বলে কোন ঋতুর অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। শীতে থাকে বসন্তের আমেজ। দিনে ঘাম ঝরানোর অবস্থা, রাতে শীতল আবহাওয়া। আর বসন্তেই জেকে বসে গ্রীষ্মের দাপট। নাতিশীতোষ্ণ এই দেশে গ্রীষ্মই এখন একাধারে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারি থেকে নবেম্বর পর্যন্ত একই চার-ছয়ে ব্যতিব্যস্ত রাখছে ঋতুচক্রকে। এ প্রসঙ্গে পরিবেশবিজ্ঞানী ড. আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৫ হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, দেশে যে ছয়টি ঋতু আছে তা তারা বিশ্বাস করেন না। ফলে মাঠে এখন আর ছয় ঋতু নেই। তিনি বলেন, এখন আর অক্টোবরে শিউলি ফোটে না। শিউলি ফোটে ডিসেম্বরে। বর্ষার ফুল কদম কখন যে ফুটে এখন আর টের পাওয়া যায় না। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ঋতুবৈচিত্র্য এখন আর আগের মতো নেই। গোলমেলে হয়ে গেছে। এর জন্য শতভাগ দায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা। ড. আহসান আহমেদ বলেন, ‘দেশে বড় রকমের তাপমাত্রার হেরফের হচ্ছে। শীতের সময় শীতের দাপট কম থাকছে। পুরো মৌসুমে মাত্র ছয়টি দিন শীত অনুভূত হচ্ছে। ঢাকার বাইরে শীত যাও বা একটু বোঝা যায়, ঢাকায় একেবারেই অনুভূত হয় না। ঢাকার সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য থাকছে তিন থেকে চার ডিগ্রী। এটা হচ্ছে ‘আরবান হিট আইল্যান্ডের’ কারণে।’ পরিবেশবিজ্ঞানীদের মতে, এর পেছনে রয়েছে জলবায়ুর পরির্বতন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই ষড়ঋতুর এই দেশে ঋতুবৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে। একদিকে গ্রীষ্ম ও বর্ষা প্রলম্বিত হচ্ছে। অন্যদিকে শীতকাল সঙ্কুচিত হচ্ছে। শরত ও হেমন্তের অস্তিত বিলুপ্ত প্রায় । এইযে ঘন ঘন বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, সাগরে নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলাবদ্ধতা, অসময়ে বৃষ্টি-অনাবৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের বিপর্যস্ত করে ফেলছে। আবহমানকাল ধরে দেশটি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের আওতাভুক্ত হলেও সম্প্রতি বছরগুলোতে বাংলাদেশের ছয় ঋতুর ছন্দপতন ঘটার পাশাপাশি ঋতুবৈচিত্র্যে ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শুধু বাংলাদেশই নয়, পুরো পৃথিবীই এক মহাবির্পযয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, প্রকৃতি ও জলবায়ুর এ ধরনের পরিবর্তন আমাদের দেশের জন্য প্রচ- ঝুঁকিপূর্ণ। ঋতুবৈচিত্রে পরিবর্তনের ফলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। অতিবৃষ্টির জন্য বন্যা এবং অনাবৃষ্টির জন্য খরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার পৃথিবীতে নতুন নতুন রোগের বিস্তার ঘটছে। এ জন্য প্রস্তুতি থাকা দরকার। ড. আহসান আহমেদ বলেন, আড়াই লাখ বছরের মধ্যে গত ১৪ বছর ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর। এত বছর একটানা গরমে ঋতুচক্রে পরিবর্তন ঘটছে। এতে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের দিন ১৫ দিন এগিয়ে যাবে। বেড়ে যাবে ফ্লাশ ফ্লাড। ফলে ফসলের আবাদে পরিবর্তন হবে। তবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে গেছে। দেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা লবন সহনশীল ও বন্যা সহনশীল উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত আবিষ্কার করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে সক্ষম হবে। তবে ফ্লাশ ফ্লাড হলে লোকজনকে সরাতে হবে। এ জন্য প্রস্তুতি থাকা দরকার। গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর উষ্ণতা প্রতি দশকে প্রায় দশমিক ১৮ সেন্টিগ্রেড হারে বাড়ছে। গলে যাচ্ছে হিমবাহ ও মেরু অঞ্চলের বরফ। সমুদ্রতলের উচ্চতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। যার প্রভাবে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠেছে আবহাওয়া। কখনও দেরিতে ঢুকছে বর্ষা, আবার সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও থেকে যাচ্ছে শীত। গত বছর পশ্চিম আমেরিকার আলাস্কা, আরিজোনা ও ক্যালিফোর্নিয়ার মতো অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। কোন কোন জায়গায় স্বাভাবিকের থেকে ১০-১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ায় তো শীতকালটাই প্রায় লোপাট হয়ে যায়। প্রচ- গরমে জলকষ্ট দেখা দিয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে। কিন্তু আমেরিকার পূর্ব দিকের ছবিটা ছিল ঠিক তার উল্টো। হাড় কাঁপানো শীতে, হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রায় ঠকঠক করেছে নিউইয়র্ক, বস্টন, ওয়াশিংটন। আবহাওয়াবিদদের দাবি, পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের আবহাওয়ার এই বৈপরীত্যই বলে দিচ্ছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের থাবা থেকে এখনও রেহাই পায়নি । আবহাওয়ার এই চরিত্র বদলের অন্যতম কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এই উষ্ণায়নের কারণেই সাগরতলের তাপমাত্রা বেড়ে গরমের দিনে অধিক গরম অনুভূত হচ্ছে। আবার এল নিনোর প্রভাবে বর্ষায় পরিমিত বর্ষা, এমন কি শীতে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই অনুভূত হচ্ছে না শীত। অদূর ভবিষ্যতে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ নেই। ভবিষ্যতে আবহাওয়ার আরও তারতম্য ঘটবেÑএমনটাই বলছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
×