ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারী সুযোগ সুবিধায় পরিচালিত জেলার একমাত্র প্রতিবন্ধী স্কুল

নীলফামারীর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নামে আছে কাজে নেই!

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

নীলফামারীর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নামে আছে কাজে নেই!

স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী ॥ সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধায় পরিচালিত নীলফামারীর একমাত্র প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি নামে আছে কিন্তু কাজে নেই। এ জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুঁটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে এ বিদ্যালয়টিতে ১২ জন শিক্ষক দিয়ে নামমাত্র পরিচালনা করে সরকারের সমুদয় অনুদান হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রস্তুতিমূলক, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, বৃত্তিমূলক ও গৃহভিত্তিক ৫টি শ্রেণীবিন্যাসে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। যা চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০১ সালের শেষের দিকে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য (বর্তমানে প্রয়াত) মিজানুর রহমান চৌধুরী জামায়াত শিবির অধুষ্যিত কালিকাপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। পাশাপাশি এমপিও ভুক্তের মাধ্যমে সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধায় আওতায় নিয়ে আসেন। এলাকার সচেতন মহল অভিযোগ করেন, শিক্ষক নিয়োগে প্রাধান্য দেয়া হয় দলীয় কর্মীদের। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ১১ শিক্ষক জামায়াত সমর্থক ও একজন শিক্ষক বিএনপির সমর্থক। বর্তমানে খাতাপত্রে বিদ্যালয়ে ৫টি শ্রেণীবিন্যাসে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ৭২ ছাত্র ও ৪৪ ছাত্রী সহ মোট ১১৬ শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ওই বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থীকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এলাকাবাসী জানায় সাপ্তাহিক ছুটি বাদে প্রতিদিন বিদ্যালয়টি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থী না থাকায় শিক্ষকরাও নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। বাইসাইকেলে কিছু শিক্ষক মাঝে মধ্যে এসে রুমের ভেতর গল্প-গুজব করে চলে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা স্কুল বন্ধ করে শিক্ষকরা বাড়ির পথে চলে যায় বলে এলাকাবাসী জানায়। গত ৩ দিন আগে সরেজমিনে দুপুর ১২টা ৬ মিনিট ওই বিদ্যালয়ে গেলে সে সময় ৫ শিক্ষককে অফিস রুমে বসে গল্প করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থী নেই কেন জানতে চাইলে খাতায় ১৭ জন উপস্থিতি দেখানো হলেও বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যাযনি। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। কিন্তু অবরোধ আর হরতালে শিক্ষার্থী আসতে পারেনি। এখানকার সকল শিক্ষক জামায়াত ও বিএনপি সমর্থক জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখানে যারা চাকরি করছেন তারা কোন দলের সঙ্গে জড়িত নয় এবং কোন রাজনীতি করেন না। নিজের জালেই আটকে গেল প্রতারক কিশোরীকে ধর্ষণ স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে হোটেলে জোরপূর্বক ধর্ষণকারী প্রতারক ও ৪ সন্তানের জনক লম্পট নিজের পাঁতানো জালে আটকে গেছে। মুঠোফোনে নিজেকে অবিবাহিত ও সেনা অফিসার দাবি করে পার্বত্য লামা উপজেলার মোহাম্মদ হোছনের পুত্র আনোয়ার হোসেন উখিয়ার ফাতেমা ফারহানা মাহি নামে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ৬ নবেম্বর বিয়ের প্রলোভনে পিত্রালয় থেকে তুলে নিয়ে যায় তাকে। ৭দিন ধরে হোটেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাড়িয়ে দেয় মেয়েটিকে। মানসিক যন্ত্রণার কারণে এবারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি সে। অবস্থান জেনে মেয়ের স্বজনরা ওই লম্পটকে কৌশলে বাড়িতে ধরে এনে আইনের প্রক্রিয়া চালায়। আনোয়ারের পিতা ছেলেকে অপহরণ ও তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ভূয়া অভিযোগ দায়ের করে র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পে। মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কথিত অপহরণের ভিকটিম আনোয়ারকে উদ্ধার ও মেয়ের সহোদরসহ চার যুবককে আটক করে জানতে পারে অপহরণ নাটকের রহস্য।
×