ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রশিক্ষিত নারী-পুরুষদের ড্যাটাবেজ তৈরির নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

প্রশিক্ষিত নারী-পুরুষদের ড্যাটাবেজ তৈরির নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রে (বিটাক) প্রশিক্ষিত নারী-পুরুষদের জন্য দ্রুত একটি ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। মন্ত্রী বলেন, এতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের কর্মসংস্থান, উৎপাদিত পণ্য, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা, সমাধানের উপায়, শিল্প উদ্যোগ বাড়াতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার ধরনসহ অন্যান্য তথ্য সন্নিবেশিত করতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে সরকার ভবিষ্যতে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির নতুন কর্মসূচী গ্রহণ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত বিটাক কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপ্তকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন। হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিটাকের মহাপরিচালক আবদুল মতিন এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, প্রকল্প পরিচালক শফিকুর রহমান, প্রাণ-আরএফএল’র মানব সম্পদ বিষয়ক বিভাগের প্রধান সমীর চক্রবর্তী, প্রশিক্ষণার্থী শিউলী রানী ও সালমা খাতুন বক্তব্য রাখেন। বিটাক সূত্রে জানা গেছে, হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণের আওতায় ফেব্রুয়ারি-২০১৫ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৩০ নারী ও ৭ হাজার ৪৮৮ পুরুষসহ মোট ১২ হাজার ৮৩৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৪৫ নারী এবং ২ হাজার ২০৯ পুরুষসহ মোট ৪ হাজার ৪৫৪ জন বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাকরি পেয়েছে। অন্যদের অনেকেই নিজ উদ্যোগে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে তুলে স্বাবলম্বী হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষিতদের মধ্য থেকে প্রাণ-আরএফএল ১০৬ জনকে নিয়োগ প্রদান করে। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দ্রুত শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে দেশে প্রচুর পরিমাণে কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার উপজেলা পর্যায়ে টিটিসি’র কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপন করেছে। ফলে দেশে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার উদ্যোগ জোরদার হচ্ছে। কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত জনবলের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রেমিটেন্স আয় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী এবং তাদের বাদ দিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয়। দরিদ্র নারীদের আত্মকর্মসংস্থান ও আর্থিক ক্ষমতায়নের জন্য সরকার বিটাকের আওতায় হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। নারীর আত্মকর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে এ প্রকল্প ইতোমধ্যে একটি মডেল প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তিনি এ প্রকল্পে প্রশিক্ষিত নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মতো অন্যান্য দেশীয় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে মন্ত্রী প্রশিক্ষিত নারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। একই সঙ্গে তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে প্রাণ-আরএফএল-এর নিয়োগপত্র তুলে দেন।
×