ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টিসিবি সংশোধন বিল ২০১৫ সংসদে পাস

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

টিসিবি সংশোধন বিল ২০১৫ সংসদে পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ টিসিবি অনুমোদিত মূলধন বৃদ্ধি, আমদানি-রফতানি ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় বাজার থেকে আপদকালীন মজুুদ সৃষ্টির ক্ষমতা দিয়ে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (সংশোধন) বিল-২০১৫ বুধবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ আকারে বিলটি উত্থাপন করা হয়। এর আগে বিলটি সংশোধন ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের শব্দগত একটি সংশোধনী গ্রহণ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পাসকৃত বিলে ১৯৭২ সালে ‘ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’ টিসিবি অর্ডারে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। বাহাত্তরের টিসিবি এ্যাক্টের ৭টি আর্টিকেলে পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান, ৩জন পূর্ণকালীন পরিচালক ও ২জন খ-কালীন পরিচালক নিয়ে টিসিবি গঠিত হবে। পূর্ণকালীন কর্মকর্তারা কর্পোরেশনের পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত বাফার স্টক করবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে কোন পণ্য ক্রয় ও আমদানি ও রফতানি ব্যবসা পরিচলনা করতে পারবে। যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির ডিলার নিয়োগ করতে পারবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত বাফার স্টক (আপদকালীন মজুুদ) সৃষ্টি ও প্রয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের অধীনে দরিদ্র শ্রেণীর মধ্যে সুলভমূল্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য টিসিবির অনুমোদিত মূলধন বৃদ্ধি আবশ্যক। এছাড়া বোর্ডের পরিচালক মনোনয়নের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবিত রূপরেখা কার্যকর হলে টিসিবির কর্মকা-ে আরও গতিশীলতা আসবে। টিসিবি অর্ডার ১৯৭২-এর সংশোধন অতীব প্রয়োজন হওয়ায় বিলটি আনা হয়েছে।
×