ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মানিতে তৈরি হচ্ছে পদ্মা সেতুর মূল হ্যামার

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জার্মানিতে তৈরি  হচ্ছে পদ্মা সেতুর মূল হ্যামার

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল পাইল ড্রাইভিংয়ের হ্যামার তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই আগামী এপ্রিলের শেষদিকে এই হ্যামার মাওয়া প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছবে। এই হ্যামার প্রায় তিন হাজার টন ওজনে পাইল পুঁততে পারবে। পৃথিবীর একমাত্র জার্মানির ‘মাংচ’ নামের প্রতিষ্ঠান এই হ্যামার তৈরি করে থাকে। তাই সেখানে তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ হ্যামার। পাইলগুলো ১২০ মিটার মাটির নিচে পুঁতবে এই হ্যামার। এদিকে ট্রায়াল পাইল ও ট্রায়াল পাইল ড্রাইভিংয়ের হ্যামার ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। ৪২ পিলারের ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতুটি নির্মিত হবে। ১৫০ মিটার পর পর থাকছে পিলার। এ ছাড়া দেড় কিলোমিটার করে উভয় পারে তিন কিলোমিটার সংযোগ সেতুর জন্য আরও ২৪ পিলার করা হবে। মোট ৬৬ পিলারের জন্য ৬৬ পয়েন্টে মাটি পরীক্ষার প্রয়োজন হচ্ছে। মূল সেতুর ৪২ পিলারের মধ্যে ডিজাইন করার সময় ১৩ পয়েন্টে মাটি পরীক্ষা হয়েছে। তাই মূল সেতুর বাকি ২৯ পয়েন্টে এখন মাটি পরীক্ষা করতে হবে। মূল সেতুর ৪০টি পিলারে ৬টি করে ২৪০ এবং দু’পারের দুটিতে ১২টি করে ২৪টি অর্থাৎ ২৬৪টি পাইল করতে হবে। সেতু দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীগণ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, চীন ও জার্মানির কর্মযজ্ঞ ক্রমেই সরিয়ে আনা হচ্ছে প্রকল্পস্থল মাওয়ায়। তাই অবিলম্বে মূল সেতু বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হবে। মূল পদ্মা সেতুর কাজকে তিনভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথমটি মাটি পরীক্ষা। এটি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ব্রিজের কাজ যতদিন চলবে, তত দিনই মাটি পরীক্ষার কাজও চলবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে সাব স্ট্রাকচার। এটি পাইল থেকে ক্যাব পর্যন্ত। তৃতীয়টি হচ্ছেÑ সুপার স্ট্রাকচার। এটি কলাম এবং আপার ডেক (সøাভ)। তখনই ব্রিজ সম্পন্ন হবে। প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার এই সেতুর দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ হতে পারে ১৬ সালে শেষের দিকে। এর পরই তৃতীয় ধাপ শুরু হবে।
×