ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৬ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৬ শতাংশ

অর্র্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান অব্যাহত রয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক জোটের চলমান হিংসাত্মক কর্মসূচীর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়ার কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন তিন শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বেক্সিমকো, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মার মতো শক্ত মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়ার কারণে ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে। সেখানকার সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। তবে বাছাই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে কিছুটা বেশি। একইভাবে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের সঙ্গে সূচক বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতায় প্রধান বাজারে সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু শুরুর কিছুটা পরে বিক্রির চাপ বাড়ার কারণে ডিএসইর সার্বিক সূচকটির অবস্থান কমে যায়। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শেষ বিকেলে বড় কিছু কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি বা ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮১০ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৪৫ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৮০৪ পয়েন্টে। সকাল থেকেই সেখানে লেনদেনের গতি কিছুটা ভাল ছিল। ভাল শুরুর পরে সেখানে ৩৪৬ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবারে ডিএসইতে মোট ২৯৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। বুধবারের লেনদেনটি প্রায় এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ১৪ জানুয়ারি ডিএসইতে মোট ৩৯০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। দিনটিতে ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির শেয়ার দর। বুধবারের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাতটি। ইফাদ অটোস নামের কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পরই খাতটির প্রতি আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৫৬ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতটি। সারাদিনে লেনদেনের মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৮ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। খাতটির কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৮৭ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- বেক্সিমকো, ইফাদ অটোস, আমরা টেকনোলজিস, গ্রামীণফোন, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, এমজেলবিডি, স্কয়ার ফার্মা এবং বরকত উল্লাহ ইলেক্ট্রো ডাইনামিকস। ডিএসইতে দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বেক্সিমকো, ফনিক্স ফিন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড, ইনটেক, বিডিকম, ইউনাইটেড এয়ার, আইসিবিএএমসিএল ২য় মিউচুয়াল ফান্ড, জেমিনি সী ফুড, আরডি ফুড ও অগ্নি সিস্টেম। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ১ম প্রাইম মিউচুয়াল ফান্ড, সমাতা লেদার, বিডি অটো কারস, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, এসিআই ফর্মূলেশন, ৭ম আইসিবি, অলটেক্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সেখানেও বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সিএসই সার্বিক সূচক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৩০ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ৯৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।
×