ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজধানীতে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ডেমরার একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতরা হচ্ছেন, মোঃ আসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী পিয়া আক্তার (২০)। পুলিশ জানায়, ওই দম্পত্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে তেজগাঁওয়ে বাসের মধ্যে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ ডেমরা থানাধীন বামুইল এলাকায় একটি বাসা থেকে আসলাম ও তার স্ত্রী পিয়া আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানায়, দু’জনে লাশ ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে ছিল। স্থানীয়রা ওই দম্পত্তির ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার মোশতাক আহমেদ জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনই বাসার সিলিংয়ে সঙ্গে ঝুলে ছিল। ছয় মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তবে এই বিয়ে তাদের দুই পরিবারই মেনে নিতে পারেনি। তিনি জানান, তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না বলে জানতে পেরেছেন। দুই পরিবারের বিরোধের কারণেই আসলাম ও পিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। এদিকে ডেমরা থানার এসআই নাজমুল জানান, বিকেল ৩টার দিকে খবর পেয়ে ওই বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো আসলাম ও তার স্ত্রী পিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা আত্মহত্যা করেছেন। নাকি অন্য কিছু তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে।এদিকে সোমবার গভীররাতে তেজগাঁও থানাধীন ফার্মগেট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মুকুল চন্দ্র দাশ (৪০) নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মুকুল চন্দ্রের বাবার নাম মৃত মদন চন্দ্র দাশ। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার তেঘরিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত মদন চন্দ্র দাশ। তিনি ধামরাই সরকারী কলেজে প্রধান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সপরিবারে তেজগাঁওয়ের ৩৩/৩৪ নম্বর স্টেশন রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। নিহতের ছোটভাই মন্তোষ কুমার দাশ জানান, ভাই মুকুল কর্মস্থল থেকে দুপুরে বাসে করে ঢাকার তেজগাঁওয়ের বাসায় ফিরছিলেন। ফার্মগেট এলাকা থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় বাস থেকে নামিয়ে দেয় বাস হেলপাররা। পরে ওই অবস্থায় উদ্ধার করে পথচারীরা ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দাদাকে চিকিৎসাধীন দেখতে পাই। পরে গভীররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
×