ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুুঁজিবাজারে ২ শতাংশ হারে সূচক বাড়ল

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুুঁজিবাজারে ২ শতাংশ  হারে সূচক বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সূচকের বড় ধরনের উল্লম্ফন দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো পুুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত থাকল। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) মোট ৭৯ ভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধির দিনে সার্বিক সূচক বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ। তবে বাছাই তালিকাভুক্ত বা ব্লু চিপস নামে পরিচিত কোম্পানিগুলোর সূচকটি আরও বেশি বেড়েছে। দুই শতাংশের বেশি সূচকটির উত্থান ঘটেছে। সব ধরনের সূচকের উত্থানের দিনে সেখানে লেনদেনও ছুঁয়েছে ৩শ’ কোটি টাকা। সব মিলে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীদের লোকসানি পত্রকোষ বা পোর্টফলিওগুলোতে কিছুটা হলেও লোকসান কমতে শুরু করেছে। অপরদিকে কম দরে শেয়ার কেনা কৌশলী বিনিয়োগকারীদের পত্রকোষগুলো লাভের মুখ দেখতে শুরু করল। ঢাকার মতো দেশের অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সকালে সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বেলা কিছু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচক বৃদ্ধির গতিও বাড়তে থাকে। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আগের দিনের চেয়ে ৭৪ পয়েন্ট বেড়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে সূচকের সর্বোচ্চ উত্থান। দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে। গত সাত কার্যদিবসে ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১৬৮ পয়েন্ট। মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া ৩০৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৪টির, কমেছে ৩৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি কোম্পানির শেয়ার দর। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৯৯ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুমে অনেকে নতুন করে বিনিয়োগ করছেন কিছুটা মুনাফার আশায়। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বেশি। ফলে বাজারে শেয়ারের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। দিনটিতে তালিকাভুক্ত ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন শেয়ারের মূল্য যেগুলো অনেক কমে গিয়েছিল, সেগুলো চাহিদার শীর্ষে চলে এসেছে। বিশেষ করে মবিল যমুনা বিডি, বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মঙ্গলবার ডিএসইর টপ-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৭.২৮ শতাংশ। এ দিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে মবিল যমুনা বাংলাদেশের। দিনভর এ কোম্পানির ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৫টি শেয়ার ১৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৭৬ শতাংশ। এ ছাড়া ইফাদ অটোসের ১৩ কোটি ৩০ লাখ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ১১ কোটি ৭১ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ১০ কোটি ৮০ লাখ, গ্রামীণফোনের ১০ কোটি ৩৭ লাখ, বেক্সিমকো ফার্মার ৯ কোটি ১৬ লাখ, বেক্সিমকো লিমিটেডের ৮ কোটি ৫২ লাখ, সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের ৬ কোটি ৪১ লাখ, সামিট এলায়েন্স পোর্টের ৬ কোটি ২ লাখ এবং ডেসকোর ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বেক্সিমকো, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়ার কাসেম ড্রাইসেল, বেক্সিমকো ফার্মা, মবিল যমুনা বিডি, হাক্কানী পাল্প, সামিট পাওয়ার, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও সালভো কেমিক্যাল। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ১৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৮ হাজার ৮৯১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৪টির, কমেছে ৩৭টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির। লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে মঙ্গলবার সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বেক্সিমকো, ইফাদ অটোস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইউনাইটেড এয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, সামিট এলায়েন্স পোর্ট, মবিল যমুনা বিডি ও ন্যাশনাল ফিড মিলস।
×