ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেকার পাঁচ হাজার শ্রমিক

টাঙ্গাইলে বন্ধের পথে দুই শ’র বেশি চালকল

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

টাঙ্গাইলে বন্ধের পথে দুই শ’র বেশি চালকল

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১০ ফেব্রুয়ারি ॥ লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কারণে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার দুই শতাধিক চালকল মালিক তাদের উৎপাদিত চাল বিক্রি করতে না পারায় লোকসানের মুখে পড়েছে। এগুলো এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর এ চাতাল পেশার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। জানা গেছে, চাতাল এবং চালকল সমৃদ্ধ জেলার ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের হামিদপুরে রয়েছে দুই শতাধিক রাইসমিল। এসব মিল থেকে উৎপাদিত চাল প্রতিদিন ৬০/৭০টি ট্রাকের মাধ্যমে ঢাকা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সাভার, নরসিংদী, কুড়িগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হতো। কিন্তু লাগাতার অবরোধ ও হরতালের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ধান-চাল আনা-নেয়া বন্ধ রয়েছে। এর ফলে দৈনিক প্রায় অর্ধকোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে মিল মালিকদের। অপরদিকে ব্যাংক লোনের কিস্তির টাকা ও কর্মচারীদের বেতন না দেয়ার কারণে মালিকদের মিল বন্ধ করে দেয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাদের গুদামের উৎপাদিত অবিক্রীত চালের পাহাড় জমে গেছে। এ পরিস্থিত চলতে থাকলে চালকল বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। চালকলের শ্রমিক শাহাদত হোসেন জানান, লাগাতার অবরোধ ও হরতালের ফলে ধান আমদানিতে অতিরিক্ত ভাড়া গোনার কারণে ইতোমধ্যে অনেক মিল বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। রাইসমিল ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, অবরোধ ও হরতালের জন্য ব্যবসা বন্ধ হয়ে পড়েছে। উৎপাদিত চাল কোথাও পাঠাতে পারছি না। এছাড়া মিল চালার জন্য যে পরিমাণ ধান দরকার সে ধানও বাইরে থেকে আমদানি করতে পারছি না। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। অটোরাইস মিল মালিক সমিতির ঘাটাইল শাখার সভাপতি প্রণয় রায় চৌধুরী জানান, অবরোধ আর হরতালের কারণে ঘাটাইল ও কালিহাতীর দুই শতাধিক রাইসমিল এখন বন্ধ হওয়ার পথে। আর এ পেশার সঙ্গে জড়িত ৫ হাজার শ্রমিক এখন বেকার অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।
×