ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়াবহ নাশকতার ছক নিয়ে নেমেছে জামায়াত-শিবির

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ভয়াবহ নাশকতার ছক নিয়ে নেমেছে জামায়াত-শিবির

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বিএনপি, জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও বিক্ষিপ্তভাবে হরতালে উত্তরের আট জেলায় রাজনৈতিক মাঠ এখন বিএনপি শূন্য হয়ে পড়েছে। অপরদিকে নাশকতা কর্মকা- পরিচালনার জন্য শিবিরের বিশেষ প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা ছদ্মবেশে মাঠে রয়েছে। তারা রাতে যাত্রীবাহী বাসে ও মাল বোঝাই ট্রাকে নাশকতা পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র মতে, শিবিরের ওই দলটি এবার এ অঞ্চলের রেলপথে বড় ধরনের নাশকতার ছক এঁটেছে। পাশাপাশি শান্ত কয়েকটি জেলাকে অশান্ত করতে পাঁয়তারা করছে। এদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। একাধিক সূত্র মতে, বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোন নেতাকর্মীকে এখন আট জেলার মাঠে ঘাটে দেখা যাচ্ছে না। খোদ দলটির চেয়ারপার্সেন খালেদা জিয়ার দিনাজপুরে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঠাকুরগাঁও এ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এসব বিএনপি নেতাদের। ফলে এ অঞ্চলের অন্যান্য জেলা রংপুর-নীলফামারী-পঞ্চগড়-লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাও ঘুমিয়ে পড়েছে। বিএনপির মাঠ কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায় আত্মগোপনে চলে যাওয়া সুযোগসন্ধানী এবং সুবিধাবাদী নেতারা ক্ষমতা যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে। তাদের ফেসবুক আর মোবাইলের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দিন পার করতে হচ্ছে। আবার কোন কোন বিএনপি নেতা রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছেন। পাশাপাশি বর্তমান অবস্থায় লাগাতার অবরোধ এবং হরতালের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী হিসেবে কর্মসূচীতেও উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে। অপর দিকে বর্তমানে বিএনপির পক্ষে এ অঞ্চলে আন্দোলন চাঙ্গা করতে রাজনৈতিক মাঠে দায়িত্বশীল নেতাদের খুঁজে পাওয়া না যাওয়ার কারণে চলমান অবরোধ ও হরতাল তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারছে না বলে মনে করেন দলের তৃতীয় স্তরের নেতারা। এ কারণেই রংপুর বিভাগের আট জেলাজুড়ে কোন সিদ্ধান্ত বা কোন ধরনের সমস্যায়ও অনেক সময়ে তাদের খোঁজ পাওয়া যায় না বলে কর্মীরা জানিয়েছেন। এমনকি মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে নেতাদের। এ অবস্থায় আন্দোলনের মাঠে নামতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক কর্মীরা। কর্মীদের অভিযোগ, বিভিন্ন জেলার দায়িত্বশীল প্রভাবশালী নেতারা ঝিমিয়ে পড়া আন্দোলনের জন্য দায়ী। নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক এক বিএনপি নেতা বলেন, নেতৃত্বের অভাবে আন্দোলন চাঙ্গা হচ্ছে না। বড় নেতারা মাঠে নেই বলে ছাত্রদল কর্মীরা পিছু হটছে। এমনকি বড় নেতারা হরতাল অবরোধের সময় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন। এতে করে আন্দোলনে লোকবল যেমন কম হয়, তেমনি মাঠ কাঁপানো আন্দোলন হয় না। হরতাল অবরোধ শুরু হলেই স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান সুবিধাভোগী নেতারা। যার ফলে রংপুর বিভাগের আট জেলায় বিএনপির রাজনীতি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। অপরদিকে এ অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জামায়াত ও শিবিরের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে থাকলেও বহিরাগত ছদ্মবেশী ক্যাডার তারা মাঠে নামিয়েছে। কোন জেলার আমির ও সেক্রেটারিসহ অন্য কোন নেতাদের দেখা যাচ্ছে না এখন। তারা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়।
×