ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভৈরবে রেলপথের ৪০ স্থানে আনসার মোতায়েন

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ভৈরবে রেলপথের ৪০ স্থানে আনসার মোতায়েন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ বিরোধী দলের টানা হরতাল অবরোধে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে ভৈরবে পরিবহন শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে যানবাহন চালাচ্ছে । যাত্রী কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে পরিবহন শ্রমিকদের। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ২ নেত্রীকে দ্রুত সংলাপে বসার অনুরোধ জানান পরিবহন শ্রমিকরা । আর হরতাল অবরোধে নাশকতা রোধে রেললাইনে সার্বক্ষণিক আনসারদের রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। এছাড়া সড়ক মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় চলছে যানবাহন। ভৈরব -ময়মনসিংহ, ভৈরব- ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম রেলপথে নাশকতা রোধে ৪০টি পয়েন্টে দিন-রাত ৩২০ জন আনসার বাহিনীর সদস্য পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে । ট্রেন ও যাত্রী নিরাপত্তায় এবং রেলওয়ে সম্পত্তি রক্ষায় আনসার বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় চলছে ট্রেন। আর সড়ক-মহাসড়কে নাশকতা রোধে পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে বিজিবির টহল। ভৈরব-ময়মনসিংহ, ভৈরব-ঢাকা ও সিলেট মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় যানবাহন চলাচল করায় কোন নাশকতা ঘটেনি । এতে করে পরিবহন চালক ও যাত্রীরা নিরাপদে চলাচল করছে । তারপরও তাদের মধ্যে রয়েছে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা। তাই তারা হরতাল অবরোধ পরিহার করে ২ নেত্রীকে সংলাপে বসে দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানান। হরতাল অবরোধের কারণে ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা কিছুটা বাড়লে সিডিউল বিপর্যয় না থাকলে ও মাঝে-মধ্যে বিলম্বে ট্রেন যাত্রা বিরতি করায় কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। আনসার সদস্য দুলাল মিয়া জানান রেললাইনে নাশকতা রোধ, রেলওয়ে সম্পত্তি রক্ষায় তারা পাহারা দিচ্ছে । আনসার সদস্য জমশেদ, মিলন মিয়া ও দুলাল (২) জানান রেললাইনে নাশকতাকারীদের ধরতে এবং ট্রেন ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় তারা পালাক্রমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পাহাড়া দিচ্ছে। পরিবহন চালক মইন, আশরাফ ও সহিদ মিয়া জানান, হরতাল অবরোধে গাড়িতে পেট্রোলবোমা, ককটেল ছোড়ায় আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় গাড়ি চালাতে হয় । এছাড়াও যাত্রী কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই ২ নেত্রীকে সংলাপে বসে দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানান। ভৈরব রেলওয়ে ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, হরতাল অবরোধে রেললাইনে নাশকতা রোধে ভৈরব-টঙ্গি ও ময়মনসিংহ রেলপথের ৪০টি পয়েন্টে ৩২০ জন আনসার পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে। ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান জানান, হরতাল অবরোধে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। তবে মাঝেমধ্যে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে কিছুটা বিলম্ব হলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বাড়ছে। ভৈরব থানার ওসি জানান, হরতাল অবরোধে নাশকতা রোধে পুলিশ, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় যানবাহন চলাচল করছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঝালকাঠিতে আনসার নিয়োগ নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি থেকে জানান, ৪টি উপজেলার মধ্যে ৩টি উপজেলায় পুলিশের পাশাপাশি আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে সর্বক্ষণিক পাহারার জন্য ১২৪ আনসার নিয়োগ করা হয়েছে। এরা একটানা ৯টি পয়েন্টে ৬ ঘণ্টা করে ৪ জন পাহারায় থাকবে। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ঝালকাঠি-বরিশাল সড়কের মধ্যে ভৈরবপাশা এবং বরিশাল কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট, শিমুলতলা ও বাদামতলা এবং রাজাপুর উপজেলার বরিশাল খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলাধীন বাগড়ী এবং ঝালকাঠি ভাণ্ডারিয়া-মঠবাড়িয়া সড়কের বলাইবাড়ীসহ ৪টি পয়েন্ট এবং ঝালকাঠি-খুলনা আঞ্চলিক একটি পয়েন্টে ৪ জন আনসার দায়িত্ব পালন শুরু করেছে।
×