ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

দেখতে দেখতে ভাষার মাসের এক তৃতীয়াংশ পার হয়ে গেল। অথচ ভাষার প্রতি বিশেষ ভালবাসার প্রকাশ যেন দেখছি না অন্যান্য বছরের মতো। ক’দিন বাদেই ভালবাসা দিবস। সেসঙ্গে বসন্ত-সৌরভ নিয়ে আসছে ফুল্ল ফাল্গুন। পহেলা ফাল্গুন আর ভালবাসা দিবসকে সামনে রেখে এবার আগেভাগে বিশেষ উদ্যোগের সংবাদ পাচ্ছি না। ঢাকা কি সত্যি সত্যি ঢাকা পড়ে গেছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়! শুধু কি ঢাকা? ঢাকার বাইরে অনেক স্থানে, মহাসড়কে বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক। মৃত্যুর আশঙ্কাকে সঙ্গী করেই পথে বেরুচ্ছেন কর্মজীবী মানুষ। সন্ত্রাসের এই কালো ছায়ার নিচে ভাষা, বসন্ত আর ভালবাসা দিবসের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি না থাকে তাহলে সেটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। যে ভুবনে আনন্দধারা বহে, তার বাসিন্দা হয়েও আনন্দের অনুপস্থিতির অস্বাভাবিকতাকে সাময়িকভাবে মেনে নিতে হচ্ছে। বরং উৎসবের আদিখ্যেতা আর আতিশায্যকেই মনে হতে পারে অস্বাভাবিকতা। ভাষার মাসে সন্ত্রাসের ভাষার ব্যবহার দেখে বিচলিত হওয়া ছাড়া পথ থাকে না। এমন সন্ত্রাস শিহরিত প্রহরে তবু প্রহরী হতে পারে আদর্শের সৌন্দর্য, কল্যাণের জন্য প্রতিজ্ঞা ও দৃঢ়তা। ভাষার মাসে ককটেল-শঙ্কাকে পকেটে পুরে পথে নামলে আরও একবার বাংলা ভাষার প্রতি উপেক্ষা, অপ্রেম বুঝতে অসুবিধে হয় না। বেশির ভাগ গণপরিবহন বাস-মিনিবাসের নাম বাংলা ভাষায় নয়। আরবি বা ইংরেজী ভাষায়। অবশ্য বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করেই লেখা হয় সেসব; যেমন ভিআইপি, স্কাইলাইন, আবাবিল, জাবালে নূর ইত্যাদি। তবু তার সমান্তরালে বিহঙ্গ, বলাকা, অনাবিল এসব বাংলা নাম বাসের গায়ে দেখে ভাল লাগে। তবে দোকান বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নাম এখনও ইংরেজীতেই রাখা হচ্ছে। বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালানোর সুবিধার্থে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ইংরেজীতে রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন অনেক ব্যবসায়ী। বলাবাহুল্য এটি সুযুক্তি হতে পারে না। ইংরেজী ভাষা যেসব দেশের প্রধান ভাষা সেসব দেশের কথা আলাদা, তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নামকরণের ক্ষেত্রে ইংরেজী ভাষাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কিন্তু ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, কোরিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশের যেসব বেসরকারী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ব্যবসা করছে সেসব নাম কি ইংরেজীতে রাখা হয়েছে? পণ্যের নামকরণের (ব্র্যান্ডিং) ক্ষেত্রেও ওইসব দেশের নাগরিকরা স্ব স্ব ভাষার ওপরই ভরসা রাখেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নয়, কেবল দেশের ভেতর ব্যবসা-বাণিজ্য করছে যেসব প্রতিষ্ঠান সেগুলোর নাম ইংরেজীতে রাখারই বা যুক্তি কী? এখন আবার হিন্দি ভাষায়ও দোকানপাটের নাম রাখার চল শুরু হয়েছে। এটাও মাতৃভাষার প্রতি অবমাননা প্রদর্শনেরই নামান্তর। আসা যাক, বাংলায় প্রতিষ্ঠানের নামফলক (সাইনবোর্ড) প্রসঙ্গে। একটু লক্ষ্য করলেই ভুল বানানের ছড়াছড়ি চোখে পড়বে। এসব অসঙ্গতি নিয়ে সেই কবে থেকেই লেখালেখি চলছে। ব্যঙ্গবিদ্রƒপ কৌতুক চলছে। বিটিভির ইত্যাদি অনুষ্ঠানে কতই না নাট্যদৃশ্য ও প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। তবু এসব বন্ধ হয়নি। ভাষার মাস এসব অনিয়ম ও অসঙ্গতির দিকে আমাদের নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মাতৃভাষাও শেখা ও চর্চার ব্যাপার। তার শুদ্ধতা রক্ষা করা যে জরুরী, এ জন্মদাত্রীর সম্মান রক্ষার সঙ্গে তুলনীয়- এই বোধটুকু জাগানোর জন্য লেখক-সাংবাদিক এবং শিক্ষকদের বারবার উদ্যোগী হতে হবে। বাঙালী মায়ের সন্তান হলেই যে বাংলা ভাষার ব্যাপারে আমি দক্ষতা অর্জন করে নিয়েছি এমনটা ভাবলে বড় ভুল হবে। অভিধান বা ডিকশনারির কয়েকটা পাতা উল্টালেই বোঝা যায় আমাদের বাংলা শব্দের সঙ্গে পরিচয়ের গভীরতা কতখানি। এই লেখা যাঁরা পড়ছেন, তাঁদের বহুজনের ঘরে হয়ত বাংলা অভিধান নেই। তাঁদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই, হাতের কাছে একটি বাংলা অভিধান রাখুন। আপনার অতিব্যস্ত সময় থেকে আলাদাভাবে সময় বের করার কথা বলছি না। কাজের ফাঁকেই মাঝেমধ্যে সেটি হাতে তুলে নিন। পাতা উল্টে শব্দগুলো দেখুন। তার অর্থ খেয়াল করুন। বানানটাও দেখে নিন। আমার বিশ্বাস এভাবে কিছুদিন চললে এটা অভ্যাসে পরিণত হবেই। বাংলা ভাষার জন্যে ভালবাসা এভাবেও গভীর রূপ নিতে পারে। বার্ন ইউনিটের কবিতা আগুনে পোড়া মানুষের চিকিৎসার বিষয়টি এখন জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। নাশকতার জন্য আগুনে পোড়ানোর বিষয়টি নতুন। কিন্তু রান্নাঘরের দুর্ঘটনায়, কিংবা বিদ্যুত বিপর্যয়ে অথবা অন্য কোনভাবে আগুন লেগে বহু মানুষ প্রতিনিয়তই আহত হচ্ছেন। তাঁদের চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলাদাভাবে বার্ন ইউনিট নেই দেশের অধিকাংশ সরকারী বা বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে। এক্ষেত্রে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটই প্রায় এককভাবে পোড়া রোগীদের নিরাময়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গত মাসে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ঢাকায় বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে। গত সপ্তাহে বার্ন ইউনিটে অমানবিকভাবে তোড়জোড় করে আগুনে আহত ব্যক্তিকে শয্যা থেকে নামিয়ে ছবি তোলার বিষয়টি নিন্দিত হয়েছে। এমনকি বার্ন ইউনিটে ভিডিও শূটও হয়েছে। বার্ন ইউনিটের রোগীদের সংক্রমণের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। তাই সেখানে প্রবেশাধিকার সীমিত থাকাই বাঞ্ছনীয়। আর শূটিংয়ের তো প্রশ্নই ওঠে না। বার্ন ইউনিটে অবিবেচক কর্মকাণ্ড বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সেখানে ভিড় জমানোরও উপকারিতা নেই, অপকার ছাড়া। বার্ন ইউনিট নিয়ে কথাটা তোলার কারণ আছে। গত সপ্তাহেই ঘাসফুল নামের একটি প্রতিষ্ঠান কবিতাসন্ধ্যার আয়োজন করেছিল রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশকেন্দ্রে। প্রতিটি ঋতুতেই ঘাসফুল কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠের আয়োজন করে আসছে। শীত ফুরিয়ে যাওয়ার আগে শীত নিয়ে ছিল আয়োজনটি। ভারি কাব্যিক ছিল শিরোনাম- শিশিরে কবিতার স্পন্দন। সত্যি বলতে কি, বর্তমানের এই অস্থির ও ভীতিকর পরিবেশ পরিস্থিতির ভেতর কাব্যিপনা কিছুটা আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতার মতোই শোনায়। কবিরা যে প্রকৃত অর্থেই গভীর সংবেদনশীল সেটা বোঝা গেল তাঁদের উচ্চারণে বারবার নাশকতায় দগ্ধ মানুষ আর বার্ন ইউনিটের প্রসঙ্গ আসায়। শুরু করেছিলেন অনুষ্ঠানের সভাপতি মাহবুব তালুকদার। এরপর একে একে অনেকেরই কবিতায় সমকালীন সমাজচিত্র উঠে এলো। জীবন অবশ্য থেমে থাকে না। ফ্যালকনে বন্ধুকন্যার বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় প্রচুর মানুষের সমাগম দেখলাম। রুশী ও স্বদেশী নাট্যশিল্পীদের সম্মানে ঢাকা ক্লাবে ব্যক্তি পর্যায়ে আয়োজিত নৈশভোজেও ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছিলেন। সত্যিই জীবনের গল্প থেমে থাকে না। ঢাকার পরিস্থিতি দেখে অনেক সময় মনেই হবে না যে, হরতাল চলছে সারা দিন সারা রাত। অফিস-আদালত, দোকানপাট সব খোলা। রাস্তায় প্রচুর যানবাহন, রীতিমতো জ্যাম লেগে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও কি স্বস্তি আছে ঢাকাবাসীর? ভয় নিয়েই পথ চলছে মানুষ। বাসে চড়লে এই ভয়ের দিক অনেকটাই বোঝা যায়। বাসের জানালাগুলো বন্ধ রাখেন যাত্রীরা। যেহেতু ঢাকায় পেট্রোলবোমার নাশকতার ঘটনা যে কয়টি ঘটেছে তার বেশির ভাগই বাসেই হয়েছে। তাই বাসযাত্রীরা বেশি সতর্ক। বাসের ভেতর এ নিয়ে আলোচনাও চলছে প্রতিদিন। বলছিলাম কবিদের সংবেদনশীলতার কথা। কবি যেমন নিজের অনুভূতির কথা লেখেন মর্মস্পর্শী ভাষায়, তেমনি সেই লেখা পড়ে পাঠকের হৃদয়েও প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এভাবে বাংলা শব্দ মানুষের মনের ভেতর শব্দ বা আওয়াজ তোলে। একটি কণ্ঠে প্রতিবাদ শতকণ্ঠে এভাবেই ধ্বনিত হয়। তরুণ কবি আফরোজা সোমার ফেসবুকের লেখা থেকে কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি। ‘নাশকতাকে রাজনৈতিক কর্মকা- হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন যে টকশোওয়ালারা, আপনারা জায়গায় বসেই আওয়াজ দিয়ে একটু বুঝিয়ে বলুন, এই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গী তৎপরতার তফাত কোথায়, কোন খানে? এভাবে বোমা মেরে অকাতরে মানুষ মারা যদি ‘রাজনৈতিক আন্দোলন’ হয়, তাহলে জঙ্গী তৎপরতা কাকে বলে?... আর পারছি না। পাগল হয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ভাইলোক, আমি শ্বাসকষ্টের রোগী না। আপনারা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নিতে পারেন যে, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার কোন্ পর্যায়ে গেলে একজন সুস্থ মানুষও মানসিকভাবে বোধ করে যে, সে তার বুুক পর্যাপ্ত বাতাস পাচ্ছে না। আমার নিশ্চিন্তি আমাকে ফিরিয়ে দিন। আমার নিঃশ্বাস আমাকে ফিরিয়ে দিন।...’ শীত শেষের মানবতা শীত যাই যাই করেও যাচ্ছে না। বিশেষ করে আমরা যারা ঘরের ভেতর ঘুমোই, ফ্যাশনদুরস্ত গরম কাপড় পরে চলি তাদের কাছে শীত তেমন অনুভূত হয় না। পারলে পঞ্জিকা থেকে ৭ দিন আগেই নামিয়ে নিয়ে আসি বসন্তকে। কিন্তু যারা বস্তি বা ফুটপাথে ঘুমোন, আর গায়ে দেয়ার মতো গরম কাপড় তেমন নেই তাদের কিন্তু এখনও শীত চলে যায়নি। আর তাদের সংখ্যাও যে নেহায়েত কম নয় এটা কাজে নামলেই টের পাওয়া যায়। একদল লেখক সেদিন রাতের বেলা শীতবস্ত্র বিতরণে যাত্রা শুরু করেন শাহবাগ থেকে। খুব বেশিদূর তারা যেতে পারেননি, এত এত অভাবি মানুষ এই ঢাকায়! ঘণ্টাখানিকের মধ্যেই ফুরিয়ে গেল শত শত কম্বল, মাফলার, টুপি। কাজটি সমন্বয় করছিলেন কবি শামীমুল হক শামীম। তিনি বললেন, ‘প্রায় দেড় লাখ টাকার শীতবস্ত্র কেনা হয়েছিল। শীতবস্ত্র বিতরণ করতে যেয়ে জীবনের অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা অর্জিত হলো। মানুষ যে কত অসহায়, সামান্য একটি কম্বল বা মাফলার বা চাদর কিংবা অন্য কোন শীতবস্ত্রের জন্য কত যে আহাজারি তা জানতামই না, লোক-এর পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ না করলে।’ হরতালবিহীন দুটো দিন গত সপ্তাহে হরতালবিহীন দুটো দিন পাওয়া গিয়েছিলÑ শুক্র ও শনিবার। সুযোগটি কাজে লাগান ঢাকার লাখ লাখ মানুষ। মনে হলো যেন পথঘাট মানুষ আর যানবাহনে উপচে পড়েছে। বহুকাল বাদে যানজট লেগে গেল মহাখালি উড়াল সড়কেও (ফ্লাইওভার)। মাসব্যাপী অবরোধ, আর গোটা সপ্তাহের হরতাল শেষে মানুষ বেরিয়ে পড়েছিল শুক্রবার সকাল থেকেই। শুক্রবারই প্রথম পরীক্ষাটি হলো এসএসসির। পরীক্ষাকেন্দ্রে নজিরবিহীন নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছিল। খোলা চোখে এটা দেখে মনটা একটু খারাপ হলো। বাংলাদেশ তো জঙ্গী রাষ্ট্র নয়। অথচ নাশকতার আশঙ্কা নিয়েই কোমলমতি ছেলেমেয়েরা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাটি দিতে বসেছে। এখনও শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ মমতা ও সহমর্মিতার পরিচয় দেন সাধারণ মানুষ। এখনও ঢাকার বাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া রাখার নিয়ম চালু আছে। অথচ পেট্রোলবোমার আতঙ্ক নিয়ে বিপুল নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ওদের এসএসসি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। মানববন্ধনের দিন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারে হরতাল সম্পূর্ণরূপেই উপেক্ষা করেছে ঢাকাবাসী। তবে এ দিনের বৈশিষ্ট্য হলো দফায় দফায় মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন। পতাকা-পোস্টার হাতে রাস্তায় নেমে আসেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতিগুলোর ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) আয়োজন হলেও এতে যোগ দেন পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত আরও দশটি সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ। তারা আইন করে হরতাল-অবরোধ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। চলমান টানা অবরোধ-হরতালে এ পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে শ্যামপুর ব্রিজ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার পথে মানববন্ধন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। জনকণ্ঠের প্রতিবেদনে লেখা হয় : লাখো মানুষের কণ্ঠে ছিল নাশকতা-সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার দৃপ্ত শপথ। তাঁদের হাতে হাতে ছিল একাত্তরের মতো বর্তমানে অবরোধ-হরতালের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের নানা ভয়াল-বীভৎস ছবি সংবলিত ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড। চোখে-মুখে ছিল রাজনীতির নামে নিষ্ঠুর সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ঘৃণা-ধিক্কার। ৯ জানুয়ারি ২০১৫ [email protected]
×