ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোথা থেকে এ জঙ্গী নির্দেশ আসছে অনেক নেতা জানেন না ;###;যদি কেউ এ সন্ত্রাসের বিরোধিতা করেন তাঁকে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা না করার জন্য বলা হয়েছে ;###;এই সন্ত্রাসের মাধ্যমেই দেশকে সম্পূর্ণ অচল করার লক্ষ্যে অটল খালেদা জিয়া

জঙ্গী পথে বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জঙ্গী পথে বিএনপি

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ টানা অবরোধ ও হরতাল ডেকে মাঠে নেই বিএনপি। আন্দোলন সফল করতে কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে না থেকে যাত্রীবাহী গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যাসহ জঙ্গী কায়দায় সন্ত্রাস-নাশকতায় জড়িয়ে পড়েছে। এ অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে দলটি এখন জনরোষের মুখোমুখি হয়েছে। এদিকে হরতাল অবরোধ চলাকালে কার নির্দেশে নাশকতা চালানো হচ্ছে, কোথা থেকে নির্দেশ আসছে এ নিয়ে খোদ বিএনপিরই অনেক নেতাকর্মী বিভ্রান্ত। আর দলের নিয়ন্ত্রণও এখন এক কেন্দ্রে নেই। কারণ, আন্দোলন শুরুর পর থেকেই দলের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন পদে থাকা নেতাদের নামে দুপুরে একরকম, বিকেলে আরেকরকম এবং রাতে অন্য একরকম বিবৃতি আসছে। ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টানা অবরোধের মধ্যে দফায় দফায় হরতাল দিয়ে বোমাবাজি, ট্রেনের ফিসপ্লেট খুলে দেয়া, যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। তাদের নাশকতার ছোবলে সারাদেশে এ যাবত প্রায় ৮০ জন মারা গেছে। এর মধ্যে অন্তত ৫০জনকে হত্যা করা হয়েছে যাত্রীবাহী গাড়িতে পেট্রোবোমায় পুড়িয়ে। এ ছাড়া তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে কয়েক হাজার যানবাহন। আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের লাগাতার এ নৃশংস ঘটনার কারণে জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশের মানুষের আপত্তির পরও এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে হরতাল দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। তবে এর প্রতিবাদে বেশ ক’দিন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এ ছাড়া গাড়িচালক ও দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার খেটে খাওয়া মানুষ প্রায় প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে হরতাল-অবরোধ ও জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু তারপরও টনকনড়ছে না বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার। বরং দিন দিনই তিনি আরও কঠোর হচ্ছেন। সূত্র মতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এবারের আন্দোলনের ছক এঁকেছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র। আর এ কারণেই এবারের আন্দোলনে দেশ ও জনগণের কোন স্বার্থকেই আমলে নিচ্ছে না তারা। আর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও যে কোন কিছুর বিনিময়ে আরেকবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর এ জন্যই এবারের আন্দোলনে পেট্রোলবোমাসহ জঙ্গী কায়দায় কিছু নতুন কৌশল নেয়া হয়েছে। তাই তারা মনে করছেন দেশ ধ্বংস হয়ে গেলেও তাদের কিছু যায় আসে না। বর্তমান সরকারকে হটিয়ে দেয়াই যেন তাদের শেষ লক্ষ্য। জানা যায়, ২০১৩ সালের পর জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরবর্তীতে জোটগতভাবে আন্দোলন করতে হলে জামায়াতের রূপরেখা অনুসারে সে আন্দোলন হতে হবে। তা না হলে জামায়াত সে আন্দোলনে সক্রিয় হবে না। তাই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জেলায় জেলায় জনসভাসহ খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় যে কর্মসূচী চলে তাতে তেমন সায় দেয়নি জামায়াত। তবে এবারের আন্দোলন শুরুর আগে জামায়াত একটি রূপরেখা তৈরি করে খালেদা জিয়াকে দেখায়। লন্ডন থেকে তারেক রহমানও জামায়াতের আন্দোলনের কৌশল মেনে নেয়ার জন্য তার মাকে অনুরোধ করেন। তাই খালেদা জিয়া জামায়াতের রূপরেখা অনুসারেই আন্দোলনে সায় দেয়। তবে মাঝেমধ্যে বিএনপি জামায়াতের সমন্বয় না হওয়ায় আন্দোলন সম্পর্কে ভিন্ন রকম নির্দেশনা এলেও পরে আবার তা ঠিক করে নেয়া হয় বলে জানা গেছে। এদিকে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় গুলশান কার্যালয় থেকে আগের মতো আর সারাদেশের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তবে মাঝেমধ্যে সেখান থেকে টেলিটক ও সিটিসেল নেটওয়ার্ক সচল থাকলে তখন তিনি আন্দোলন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কারও কারও সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গেছে। আর লন্ডন থেকে তার বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিনই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছেন এবং হরতাল-অবরোধ সফল করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এর বাইরে কখনও বাইরে থেকে কেউ গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করে খালেদা জিয়ার মতামত নিয়ে তা অন্যত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। অধবা বাইরের কোন খবর খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। আবার কখনও কখনও খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে কেউ বের হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে বসেছে। গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশকারীদের খাতায় নাম লিখে রাখার পাশাপাশি কে কখন প্রবেশ করছে বা বের হচ্ছে তা লিখে রাখা হচ্ছে। এমনকি গুলশান কার্যালয়ে কোন মালামাল প্রবেশ করলে বা ভেতর থেকে বের করলে তাও লিখে রাখা হচ্ছে। সূত্র মতে, টানা অবরোধ কর্মসূচী শুরুর প্রথম দিকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নিজ দল এবং ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কিছু নেতাকে আন্দোলন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। কোন কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও যাতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কর্মসূচী চালিয়ে যেতে পারেন সে ব্যবস্থা তিনি আগেই করে রেখেছেন। এর বাইরে যখন প্রয়োজন তখন লন্ডন প্রবাসী ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে বলেছেন তিনি। আর খালেদা জিয়ার পূর্বনির্ধারিত কৌশল অনুসারেই এখন আন্দোলন কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে। তবে পুরোপুরি সমন্বয়ের অভাবে একেক সময় একেক জায়গা থেকে আন্দোলন সম্পর্কে একেক রকম তথ্য আসছে। শুক্রবার দুপুর বেলায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির এক বিবৃতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের চিত্রসহ সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়। বিকেলে আরেক বিবৃতিতে টানা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আর রাতে আরেক বিবৃতিতে টানা ৭২ ঘণ্টা হরতাল পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। একই দিন বিএনপির আরেক নেতা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করে এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এদিকে জনস্বার্থে আন্দোলনের কথা বলে নেতাকর্মীদের দিয়ে জঙ্গী কায়দায় নাশকতা চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এখন বিএনপি ও খালেদা জিয়া সম্পর্কে ঘৃণা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ এখন বলতে শুরু করেছে আন্দোলন যদি জনস্বার্থে হয় তাহলে চলন্ত বাসে পেট্রোলবোমা মেরে কেন মানুষকে অগ্নিদ্বগ্ধ করে মারা হচ্ছে? কেনইবা এসএসসি পরীক্ষা বন্ধ করতে অবরোধের মধ্যে বার বার হরতাল দেয়া হচ্ছে? যাত্রীবাহী গাড়িতে আগুন দেয়ায় প্রতিদিনই জীবন্ত দ্বগ্ধ মানুষ মারা যাবার পাশাপাশি অনেক মুমূর্ষু মানুষ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হচ্ছেন। বার্ন ইউনিটে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর এসব অসহায় মানুষের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। আন্দোলনের নামে নাশকতার মধ্য দিয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রাখায় সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে। সারাদেশের রাজপথে প্রতিদিনই মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীসহ নানামুখী কর্মসূচী পালন করছে বিক্ষুব্ধ মানুষ। এসব কর্মসূচীতে অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহারসহ খালেদা জিয়াকে মানুষ হত্যা বন্ধ করার দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মন টলছে না। তাদের আন্দোলনের নমুনা দেখে মনে হচ্ছে তারা জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। বিএনপির এই প্রতিশোধ পরায়ণ রাজনীতির পেছনে দেশীবিদেশী কোন মৌলবাদী গোষ্ঠীর ইন্ধন আছে কি না অভিজ্ঞ মহলের মনে আজ সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। জঙ্গী কায়দায় আন্দোলনে অংশ নিতে গেলে অকালে প্রাণ হারানো গ্রেফতার-নির্যাতনের শিকার হওয়ার ভয় থাকায় আগে থেকেই ঘাঢাকা দেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা। এ কারণে রাজপথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখাই মিলছে না। তবে দলীয় অর্থায়নে কিছু ভাড়াটে পিকেটার ও ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু সন্ত্রাসী কর্মীর হাতে পেট্রোল বোমাসহ বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ তুলে দিয়ে নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। আর তার সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা জঙ্গী কায়দায় চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে আন্দোলনকে টিকিয়ে রেখেছে। আর সরকার বিদ্বেষী এক ধরনের বুদ্ধিজীবী বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনের নামে এই নাশকতামূলক কর্মকা-ের সাফাই গেয়ে তাদের উৎসাহিত করছেন। আর এ কারণেই দেশের জানমালের এত ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পরও জঙ্গীবাদী হামলা বন্ধ হচ্ছে না। জানা যায়, যারা আন্দোলনের নামে নাশকতায় জড়িত তারা বেনামে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সিমকার্ড ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমেই তারা নিয়মিত আন্দোলন-নাশকতার নির্দেশকারীদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সময়ে যোগাযোগ করে আবার ফোন বন্ধ করে রাখে। এ ছাড়া বেনামে এ্যাকাউন্ট করা ফেসবুক থেকেও বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে নিজেদের মতাদর্শী লোকদের নাশকতা চালিয়ে যাবার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে। এ খাতে জামায়াত-বিএনপির বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে বলেও জানা গেছে। আন্দোলনের নেতিবাচক দিকে নিয়ে দেশব্যাপী কঠোর সমালোচনা অব্যাহত থাকলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এ কর্মসূচী চালিয়ে যাবার ব্যাপারে এখনও অনড় অবস্থানে রয়েছেন। তিনি চাচ্ছেন যে কোন কিছুর বিনিময়ে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে পদত্যাগে বাধ্য করতে। আর এ জন্যই কোন সমালোচনাকে তোয়াক্কা করছেন না। তিনি আন্দোলনের শেষ দেখতে চাচ্ছেন। দলের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন যারা আন্দোলনকে ভয় পাবেন তারা যেন তার সঙ্গে দেখা সাক্ষাত না করেন। আর এ কারণে দলের অনেক নেতাই এখন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেন না। পেট্রোলবোমাসহ আন্দোলনের নামে নাশকতা চালিয়ে জনস্বার্থের বিঘœ ঘটানোর কারণে বিএনপি এখন বিদেশী সমর্থনও হারাচ্ছে। এ জন্য আন্দোলনের প্রথম দিকে সংলাপ করে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সরকারের প্রতি বিদেশী চাপ থাকলেও এখন উল্টো নাশকতা বন্ধ করার জন্য বিএনপিকেই চাপ দিচ্ছে বিদেশীরা। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-নৈসরাজ্য চলতে থাকায় ক্ষুব্ধ বিদেশীরা একের পর এক বিবৃতি দিয়ে বিএনপিকে সাবধান করে দিচ্ছে। এতে বিএনপি এখন চরম বেকায়দায় পড়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা সরকারী দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির নাশকতামূলক আন্দোলনের নিন্দা জানিয়েছেন। বিশেষ করে পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনাকে তারা কিছুতেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে মেনে নিতে চাচ্ছেন না। তাই তারা এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। আর বিএনপি এতদিন মনে করেছিল প্রতিবেশী দেশ ভারত আওয়ামী লীগের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নেবে। কিন্তু সার্বিক বিশ্লেষণ করে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিই আস্থা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে বিদেশীদের মনোভাব পরিবর্তন করতে বিএনপিও নতুন কৌশল নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশঅ দূতাবাসে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের গুম-খুনের তালিকাসহ চলমান আন্দোলন কর্মসূচী চলাকালে নিহত, আহত ও গ্রেফতারকৃতদের একটি তালিকা পাঠিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে চলমান আন্দোলনে নাশকতার দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে দলের পক্ষ থেকে সরেজমিন তদন্তের অনুরোধও জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির চলমান আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, আন্দোলন সফল করতে হলে কিছু কৌশল থাকে। এরই অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্দেশে আন্দোলন চলছে। আমরা আশা করছি এ আন্দোলন সফল হবে।
×