ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তিন হাজার বছর আগেও মানসিক ব্যাধি ছিল

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তিন হাজার বছর আগেও  মানসিক ব্যাধি ছিল

মনস্তাত্ত্বিকরা বলেন, ভয় জমতে জমতে তৈরি হয় উদ্বেগ। আর বহু দিনের উদ্বেগই জন্ম দেয় ব্যাধির। এর পারিভাষিক নাম, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) বা বিপর্যয়-পরবর্তী মানসিক ক্ষত। আগে মনে করা হতো, ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম এই রোগের হদিস মেলে। -আনন্দবাজার পত্রিকা। কিন্তু ব্রিটেনের এ্যাঞ্জিলা রাসকিন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, এ রোগের শিকড় ৩ হাজার বছরেরও পুরনো। মেসোপটেমিয়া সভ্যতার সমসাময়িক ইরাকী সেনারাই প্রথম এই রোগের শিকার। তবে এর মূলে যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যুদ্ধভীতি, তা নিয়ে সংশয় নেই কারও। ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রীস এবং পারস্যের মধ্যে ‘ম্যারাথনের যুদ্ধ’ পার্সিদের হারালেও, মনস্তাত্ত্বিকদের দাবি, এর পরেই পিটিএসডির শিকার হন আথেন্সের যোদ্ধা এপিজেলুস। গ্রীক ইতিহাসবিদ হেরাডোটাসের সূত্র ধরেই এতদিন পর্যন্ত মনে করা হতো, গ্রীক যোদ্ধাদের মধ্যেই প্রথম এই রোগের অস্তিত্ব মেলে। সম্প্রতি সেই দাবি নস্যাত করে এক দল ব্রিটিশ গবেষকের দাবি, ১৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আসিরিয়া রাজত্বে ইরাকের যোদ্ধারাই প্রথম এই রোগের শিকার হন। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, এই রোগ মূলত বিপর্যয়পরবর্তী মানসিক ক্ষত। প্রাকৃতিক কিংবা মানুষের দ্বারা ঘটানোর বিপর্যয়ের পর মানুষের মনে যে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত তৈরি হয়, তাই পিটিএসডি। ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, সে সময় বছরে অন্তত তিনবার করে যুদ্ধে যেতে হতো ইরাকী যোদ্ধাদের। সেখান থেকেই তৈরি হয় যুদ্ধভীতি। ‘নাথিং নিউ আন্ডার দ্য সান : পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’ নামে সম্প্রতি প্রকাশিত এই গবেষণাধর্মী প্রতিবেদনে যুদ্ধ ও মানবসভ্যতার ইতিহাস ঘিরে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
×