ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তরুণদের উগ্রতার দিকে ঝুঁকে পড়া উদ্বেগজনক

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তরুণদের উগ্রতার দিকে ঝুঁকে পড়া উদ্বেগজনক

প্রিন্স অব ওয়েলস প্রিন্স চার্লস বলেছেন, তরুণরা উগ্র হয়ে পড়ছে ব্যাপকভাবে। এ ব্যাপকতা আশঙ্কাজনক এবং দুশ্চিন্তার বিষয়। খবর বিবিসি অনলাইনের। রেডিও টু-এর সানডে আওয়ারের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে প্রিন্স চার্লস বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে তোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টান গীর্জাগুলো দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলেও তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ছয়দিনের সফরে এসে এখন জর্দানে অবস্থান করছেন। প্রিন্স শনিবার রাতে জর্দানে রাজধানী আম্মানে পৌঁছোন। বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যুবরাজ চার্লস আর্মেনীয় রোমান ক্যাথলিক, ক্যালডীয় ও সিরীয় অর্থোডক্স গীর্জাগুলো পরিদর্শন করছেন। তার এ পরিদর্শন কর্মসূচী সম্প্রচার করছে রেডিও টু। সিরিয়া ও ইরাকে গীর্জার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে গেছে তাদের দুর্ভোগও তুলে ধরেছে রেডিও টু-এর অনুষ্ঠানে। যুবরাজ চার্লস তরুণদের উগ্রতার দিকে ঝুঁকে পড়ার ব্যাপারে বলেনÑ হ্যাঁ, আমি মনে করি, এটা মারাত্মক, উদ্বেগের বিষয় এবং এর ব্যাপকতা বেশ একটা আশঙ্কার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের মতো একটি দেশে যেখানে আমাদের প্রিয়মূল্যবোধগুলো রয়েছে, সেখানে এ আশঙ্কা বাড়ছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, যারা এখানে এসেছেন, জন্মগ্রহণ করেছেন এবং স্কুলে পাঠ নিয়েছেন তারা এ মূল্যবোধ সমুন্নত রাখবেন। তিনি বিবিসির এ অনুষ্ঠানে বলেন, কিছুসংখ্যক তরুণ উগ্র হয়ে পড়ার আংশিক কারণ হচ্ছে, তাদের অভিযান অন্বেষণ এবং একটা বিশেষ বয়সের উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ। প্রিন্স চার্লস উগ্রতা বিরোধী লড়াইয়ে তার দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রিন্সেস ট্রাস্টের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্ম নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি এ বছরগুলোতে প্রিন্সেস ট্রাস্টের হয়ে যা করার চেষ্টা করে আসছি তা হচ্ছে কিশোর-কিশোরী ও যুব বয়সীদের জন্য উৎসাহ উদ্দীপনা গড়ে তোলা এবং সে লক্ষ্যে তাদের জন্য বিকল্প পথ বের করা। তিনি আভাস দেন, তিনি যখন সিংহাসনে বসবেন তখন তিনি (খ্রিস্টান) ধর্ম বিশ্বাসেরও রক্ষক হবেন। তিনি বলেনÑ তিনি মনে করেন, তার এ ভূমিকার একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, বহু সংস্কৃতির ব্রিটেনে প্রতিটি ধর্মকে রক্ষা করে ধর্মীয় বিশ্বাসের একজন প্রতিভূ হওয়া। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ কিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান করতে পারে সে ব্যাপারেও তিনি আলোকপাত করেন তার সাক্ষাতকারে। তিনি আরও বলেনÑ আমি মনে করি, আসল কথা হচ্ছে, সকল ধর্মবিশ্বাসের সহ-অবস্থান গড়ে তোলার জন্য আমাদের আরও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের প্রভু শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের প্রতিবেশিকে ভালোবাসার জন্য। শিক্ষা দিয়েছেন আমরা নিজেদের জন্য যা করি তা অন্যের জন্য করা।
×