ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অর্থনীতির সূচক

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অর্থনীতির সূচক

বিশ্ববাজারে মন্দাভাব থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশ তার ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে। সাফল্যের এই চলমান প্রক্রিয়া দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন বৃদ্ধিসহ নানা খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। গত পাঁচ বছরে দেশের আর্থিক খাতের সব সূচকে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে মাথাপিছু আয়, সরকারী বিনিয়োগ, বাজেটের আকার, রেমিটেন্স, বিদ্যুত উৎপাদন, আমদানি-রফতানি বৃদ্ধিসহ সব খাতে দেশ এগিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, সামাজিক সূচকেও বাংলাদেশ বিস্ময়করভাবে তার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হারও লক্ষণীয়ভাবে কমেছে। শনিবার জনকণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় ‘আর্থিক সব সূচকে ভাল অবস্থানে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আশা জাগানিয়া এ সংবাদ বের হয়েছে। সংবাদে জানা যায়, আর্থিক খাতের সব সেক্টরে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নতি করেছে। বর্তমান সরকারের বিগত পাঁচ বছর এবং বর্তমান মেয়াদের এক বছরেও অর্থনীতির সূচক উর্ধমুখী রয়েছে। বহির্বিশ্বেও দেশের এই অগ্রগতি নানাভাবে দেশের সুনাম ও ভাবধারাকে অক্ষুণœ রেখেছে। সংবাদটিতে আরও জানানো হয়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আহূত হরতাল ও অবরোধের কারণে বিগত এক মাসে দেশজুড়ে যে নৃশংস সহিংসতা ও জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচী চলছে তাতে অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় দেখা দিয়েছে অশনি সঙ্কেত। জানা যায়, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সমুন্নত রাখার জন্য বিগত বছরের মতো সামনের দিনগুলোতেও ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়ার নীতি নেবে। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ মহল দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারকে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিএনপি আহূত হরতাল অবরোধকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত জঙ্গীরা দেশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচীর নামে সাধারণ নিরীহ মানুষকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করে মেতে উঠেছে পৈশাচিক খেলায়। এই জঙ্গীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে চায়। তারা দেশকে অকার্যকর ও অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করে ফায়দা লুটতে চায়। একই সঙ্গে এই চক্রটি দেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকাটিকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। এদিকে জঙ্গীদের সহিংসতা ও নাশকতা ঠেকাতে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, সারাদেশে পেট্রোলবোমা, ককটেল ও নাশকতার জন্য গ্রেফতারকৃতদের বেশিরভাগই জামায়াত-শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলও সরকারের জঙ্গী দমনে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় জঙ্গীদের নির্মূলে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে তারা। অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ যখন অর্থনীতির সব সেক্টরে ধারাবাহিক সাফল্য অক্ষুণœ রেখে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে তখন দেশবিরোধী শক্তি তা চিরতরে রুদ্ধ করে দিতে চায়। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করবেÑ এমন প্রত্যাশাই সবার।
×