ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গত মাসে ডিএসইতে রাজস্ব কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গত মাসে ডিএসইতে রাজস্ব কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় কমেছে। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে প্রায় ১৬ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে ডিএসই থেকে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার। যা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ছিল ১১ কোটি ২৯ লাখ ১ হাজার টাকার। এই হিসাবে জানুয়ারিতে ডিএসই থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বছরের শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মতো জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচী চলছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুুঁজিবাজারেও। এতে গত ১ মাসে পুঁজিবাজার চরম মন্দাবস্থা পার করেছে। এর ফলে ডিএসইর রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আলোচিত মাসে সদস্য হাউসগুলো থেকে ডিএসই ৫ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। যা ডিসেম্বরে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২ হাজার টাকা ছিল। ডিসেম্বরের তুলনায় ৭ শতাংশ বা ৪৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ও কমেছে। এই মাসে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছে ডিএসই। যা ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা বা ২৬ শতাংশ কম। ডিসেম্বর মাসে ডিএসই উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারধারীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করেছিল ৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪, ধারা ৫৩ এর আওতায় ডিএসই ২০১৪-১৫ হিসাব বছরের জানুয়ারি মাসে সদস্য ব্রোকারেজ হাউজের কাছ থেকে এই রাজস্ব পেয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৮ কোম্পানি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৮ কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এই হিসাবে পুঁজিবাজারে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়াল ২২০টি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলো সমাপ্ত অর্থবছরে ১০ শতাংশের ওপর লভ্যাংশ দিয়ে এই ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ৬ কোম্পানি ‘এন’ থেকে ও ২ কোম্পানি ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। খান ব্রাদার্স ॥ খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আর এই লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ॥ কোম্পানিটি দীর্ঘ ৫ বছর পর সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। রতনপুর স্টিল ॥ রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক ॥ এই কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আর এই লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। নর্দার্ন জুট ॥ নর্দার্ন জুট এ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এ্যাপোলো ইস্পাত ॥ এই কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। খুলনা প্রিন্টিং ॥ খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানি (কেপিপিএল) সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আর এই লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। হাওয়েল টেক্সটাইলস ॥ এই কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।
×