ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরবরাহ বৃদ্ধি

রাজধানীতে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

 রাজধানীতে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। শীতকালীন কয়েকটি সবজির দাম বাড়লেও অধিকাংশের দাম কমেছে। বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। কেজিপ্রতি ২ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৮ টাকায়। দাম কমায় ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি টমেটো। সব ধরনের গুঁড়োদুধের দাম হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, আটাসহ বেশিরভাগ মুদি পণ্য আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ-হরতাল চললেও পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। বাড়ছে পণ্য সরবরাহও। ফলে হরতালের শুরুতে কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়লেও এখন তা কমে আসছে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কাপ্তান বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ২ টাকা বেড়ে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা আর আমদানিকৃতটি ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা রসুন ৮৫-৯০ টাকা ও আদা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদি পণ্যের মধ্যে দেশী মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১০৫-১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৯০-৯৫ টাকা, প্রতিকেজি মুগ ডাল ১২০-১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৪০-৪৫ টাকা, মাসকলাই ৯০ টাকা ও ছোলা ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খোলা চিনি ৪৩-৪৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ৫০ টাকা, প্রতিকেজি খোলা আটা ৩২ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৯৫-১০০ টাকা ও প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮-১১০ টাকা দরে। এছাড়া ফার্মের লাল ডিম প্রতিহালি ৩০ টাকা এবং দেশী মুরগি ও হাঁসের ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৩৭-৩৮ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫২ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা, নাজির শাইল ৫২-৫৮ টাকা ও বিআর আটাশ ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গুঁড়োদুধের দাম কমে প্রতিকেজি ডানো বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭১০ টাকায়। যা গত সপ্তায় ৭০০-৭২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানদার সালাম মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, হরতাল-অবরোধ বন্ধ হলে জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে। অবরোধের কারণে ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছিল। তবে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় জিনিসপত্রের দাম কমে আসছে।
×