ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ওরা কী চায়

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

দেশে এখন চলছে রাজনীতির নামে চরম নৈরাজ্য। ২০ দলীয় জোট এমন কিছু হিংসাত্মক কর্মকা- চালাচ্ছে যা নিষ্ঠুর বরবরতাকেও হার মানায়। সময়ের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি জনমনে নানা ধরনের ভীতির সঞ্চার করেছে। মাইশার প্রাণবন্ত জীবনে তারা পেট্রোলবোমায় নৃশংসতা চালিয়ে নিস্তব্ধ করে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধে প্রায় ৭৮ জন আগুনে দগ্ধ হয়ে অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে। এরা প্রায় সবাই সাধারণ নিরীহ মানুষ। যাদের সঙ্গে রাজনীতি তথা ক্ষমতার পালাবদলের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে ‘গণতন্ত্রের’ নামে! বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, একদল সন্ত্রাসী কোন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বলছে, আমাদের চাঁদা না দিলে আমরা তোমার প্রতিষ্ঠান বোমা মেরে উড়িয়ে দেব। সন্ত্রাসীরা একসময় চাঁদা না পেলে তাই করছে। সম্প্রতি ২০ দলীয় জোট এই ধরনের আচরণ করছে যে আমাদের ক্ষমতায় যেতে না দিলে আমরা নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারবো। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘কিসের পরীক্ষা কিসের কী? এতে প্রমাণিত হয়, তাদের কাছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরীক্ষা, শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ, শিল্প ও বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর অনুরোধ, দেশী ফ্যাশন হাউস ও হস্তশিল্প পণ্যের ৫০টির বেশি সংগঠন সহ বহু সংগঠনের মানববন্ধনকে উপেক্ষা করে তারা নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এর আগে কংগ্রেসম্যানদের নামে ও ভারতের শীর্ষ এক বিজেপির নেতার পক্ষ হয়ে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশ যখন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিটি সূচকে উন্নয়ন ঘটিয়েছে তখন বিএনপি-জামায়াত জোটের লবিস্টরা শত কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ভাবমূর্তি বিপন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী কোকোর মৃত্যুর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি দেখা করেননি। অথচ মৃত্যুর পর কোকোর অপকর্ম নিয়ে নানা অর্থ পাচার ও আত্মসাতের কাহিনী একটি দৈনিকে পর পর তিন দিন ছাপানো হয়েছে। তাই মানুষ হত্যা করে মানুষকে জিম্মি করার এই দূরভি সন্ধিমূলক রাজনীতির বলয় থেকে বের হয়ে আসতে হবে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের। সাধারণ মানুষকে ভীত করে কিংবা ভুল পথে চালিত করলে একদিন এই আগুনে পুড়তে হবে নিজেদের। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সবাইকে একত্র হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ না হতে পারলে দেশে কোনমতেই শান্তি ফিরবে না। তা না হলে নিজেদের জ্বালানো আগুনে একদিন নিজেদেরই পুড়তে হবে। আবু সুফিয়ান আসাদ এ্যাভিনিউ, ঢাকা। মমতার মমতা বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম শেষ প্রান্তে তেঁতুলিয়া ও পাট গ্রামের অবস্থান। তেঁতুলিয়া-বাংলাবন্দ সীমান্ত ঘেঁষা মহানন্দা নদ। মাঝখান দিয়ে উজানে হিমালয় হতে শিলিগুড়ির ওপর দিয়ে ভাঁটিতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় এসে তিস্তা নদী ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়ে আরও ভাঁটিতে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ চীনের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে অরুণাচল প্রদেশ অতঃপর আসামকে ভিজিয়ে ধুবরির পাশে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে গাইবান্ধায় তিস্তা ও যুমনায় মিলিত হয়েছে। গঙ্গা, তিস্তা, ব্রহ্মাপুত্র হিমালয় হতে উৎপর্তি। গঙ্গা মিলিত হয়েছে পদ্মার সঙ্গে। গঙ্গার পানি পদ্মায়, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে তিস্তার পানি বাংলাদেশের তিস্তায় এবং আসামে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাংলাদেশের অংশে ব্রহ্মপুত্র নদীকে পানি দিয়ে তাজা রাখত। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ হিমালয় হতে প্রবাহিত পানির ন্যায্য হিস্যা পেয়ে আসছিল। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দোহাই দিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করে পানির গতিপথ পরিবর্তনে বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রবাহ হ্রাস করে বাংলাদেশ তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গকে মরুভূমিতে পরিণত করতে সাহায্য করে। যার কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মারাত্মক হুমকির মূখে পতিত। বিরূপ আবহাওয়া বিরাজমান। কৃষি খাত হুমকির মুখে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পথে। পানির ন্যায্য হিস্যা পাবার জন্য দেনদরবার, সভা-সেমিনার, মিটিং-আলোচনা সচিব, মন্ত্রী, উপদেষ্টা সর্বশেষ উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে নানা আলোচনা, নানা আশা-ভরসা, আশ্বাস ও বিশ্বাসের পরে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে তাড়নায় বাংলাদেশে আসছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রধান। পানির ন্যায্য হিস্যা পূরণে প্রধান বাঁধা একমাত্র মমতা তাঁর অবস্থান থেকে সরে এসে বাংলাদেশকে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিনুযায়ী প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করতে সদয় সম্মতি প্রকাশ করে ভালবাসার বন্ধ দুয়ার খুলে দেবার অঙ্গীকার করেছেন, বাহ! কি খুশির কথা, আনন্দের কথা। যিনি নির্দয় তিনি হলেন সদয়। পাথরের নিচ দিয়ে বরফ গলে আঁকা-বাঁকা পথে পানির নিজস্ব প্রবাহমান গতি দ্রুত বেগে কলকল শব্দে চলে আসবে হিমালয় হতে বাংলাদেশের পদ্মা, যমুনা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়ায়। ভিজে যাবে দেশের মাটি, নদী তাজা হবে ভরা পানিতে। বাঁচবে পশু-পাখি, জীব-জন্তু। রক্ষা পাবে মানবতা। থাকবে না কোন রোগবালাই। বিলীন হবে মরুময়তা। কৃষকের মুখে ফুটবে হাসি। মেছের আলী শ্রীনগর। বইমেলার পরিবেশ বছর ঘুরে আবার এসেছে একুশের বইমেলা। বাঙালীর প্রাণের মেলা এ উৎসব। এ উৎসব অন্যান্য উৎসবের চেয়ে একটু ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসে। সেখানে জড়িয়ে থাকে গাম্ভীর্য, মননশীলতা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণসহ বর্ধিত আকারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে আবারও মেলা বসেছে। এবারের মেলা এমন একটা সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মেলাজুড়ে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোটের সহিংসতায় সারাদেশে পুড়ছে জনসম্পদ, দগ্ধ হয়ে মরছে মানুষ। যানবাহনসহ রাস্তাঘাটে মানুষ আতঙ্কিত। জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত সবাই। যদিও সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বিধানে। সময়ের এ বাস্তবতায় বইমেলায় প্রয়োজন অতীতের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা জোরদার করা। কেননা এখানে লোকসমাগম ঘটে বেশি। মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশে যেহেতু বাণিজ্যমেলার মতো অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার নেই, সেহেতু সব শ্রেণীর মানুষের সমাগম ঘটে বেশি। বরাবরের মতো এবারও পাইরেট পুস্তক, নকল ও অননুমোদিত বইমেলার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে দেদার। এতে মূল ও মেলার স্টল নেয়া ব্যবসায়ীদের ব্যবসার সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতেই সহিংস রাজনীতির কারণে দেশের সব সেক্টরেই ব্যবাস-বাণিজ্যে মন্দা যাচ্ছে। যদি প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতারা এখনও অবস্থার মুখোমুখি হন তাহলে মেলার খরচই তারা তুলতে পারবেন বলে মনে হয় না। ফুটপাথের এসব ব্যবসায়ী পুলিশ, স্থানীয় কিছু অসৎ রাজনীতিক ও চাঁদাবাজ মাস্তানদের বখরা দিয়ে এ সুযোগ নেয়। মেলায় আগত দর্শনার্থী ও পথচারীদের চলাচলেও সৃষ্টি হচ্ছে সমস্যা। অন্যদিকে মেলার খুব কাছে বিভিন্ন বাদ্য-বাজনা, বাজারিপণ্য, খাবার দোকান, উচ্চৈঃস্বরে বাজতে থাকা গানের সিডির দোকানের কারণে মেলার ভাবগাম্ভীর্য বিনষ্ট হচ্ছে। আমরা আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমেনা খাতুন গেন্ডারিয়া, ঢাকা। লোভের অনলে পুড়ছে দেশ ৫ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নতুন করে সরকার গঠন হলো। তারপর একটি বছর নীরবে নিভৃতে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সবাই সমান তালে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ দেশে এমনকি ঘটলো যে, এই মুহূর্তে আবার একটি নির্বাচন দিতে হবে। দেশের মানুষ কি না খেয়ে মরছে? নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের গায়ে আগুন লেগেছে? বিদ্যুতের অভাবে দেশ অন্ধকারে তলিয়ে গেছে? গ্যাসের অভাবে রান্না-বান্না বন্ধ হয়ে গেছে? পানির অভাবে দেশ মরুভূমি, কল-কারখানার উৎপাদনের চাকা বন্ধ হয়ে গেছে? লাখ লাখ চাকরিজীবী বেকার হয়েছে? আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাংক খালি, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আসা বন্ধ হয়েছে? বিদেশীরা এই দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই-রাহাজানী বেড়ে গেছে। দেশজুড়ে খুনাখুনী, মারামারি-হানাহানি চলছে। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। দেশ-বিদেশের একজন বিবেকবান মানুষও বলবে না এমন পরিস্থিতির কথা। অথচ কেবল মাত্র একটি দলের নেত্রী এবং তার অনুসারীদের মনে এতো অশান্তির আগুন জ্বলে উঠল কেন? ক্ষমতার উন্মত্ত নেশায় গণআন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার সহিংস অবরোধ ডেকে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। পুড়ে যাওয়া মানুষের আর্তনাদ আর স্বজনদের আহাজারিতে সারা দেশের আকাশ ভারি হয়ে উঠেছে। তার হিংস্র খায়েশের চরম প্রতিহিংসার অনলে পুড়ছে দেশ। যা নির্বাচনের আগে তার এমন খায়েশের কাছে গাছপালা পশুরাও রেহাই পায়নি। আর কত প্রাণহানি হলে, সম্পদহানি হলে সীমাহীন যন্ত্রণা আর দুর্ভোগ পোহালে তার ক্ষমতা লাভের খায়েশের ষোলকলা পূর্ণ হবে। জনগণের প্রশ্ন ক্ষমতার জন্য এমন নৃশংস বর্বর রাজনীতি আর কতদিন চলবে? মুহাম্মদ ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। পেট্রোলবোমা করছি শেষ সুজালা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদেরই বাংলাদেশ। ঠিক ঠাক মতো চলছিল দেশ, কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তি পালনকে কেন্দ্র করে এবং অর্বাচীন নেতা তারেক জিয়ার বেসামাল উক্তি দেশকে একেবারেই বেসামাল করে তুলেছে। শুরু হলো পেট্রোলবোমা দিয়ে গাড়ি জ্বালিয়ে জীবন্ত এবং ঘুমন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারিয়ে ফেলার তা-ব লীলা, বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখছেন গুলশানের কার্যালয়ে। আর সেখান থেকে চলছে সারাদেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করার নির্দেশনামা, অর্জন কি হবে জানি না সাবেক প্রধানমন্ত্রীর? সাধারণ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করেন বটে, আবার তাদের পেট্রোলবোমা মেরে পুড়িয়ে মারবেন, এটা কোন রাজনীতি হতে পারে না। আমজনতাকে মেরে ফেললে কাকে নিয়ে রাজনীতি করবেন? প্রতিদিন বিভিন্ন নেতাকর্মীরা প্রায় ১০০ জনের খাওয়ার মতো ভূরি ভোজ করেন। যার মধ্যে আছে পোলাও, কোরমা, মাছ, মাংস বিভিন্ন রকম জুস, কোমল পানীয়, আপেল, আঙ্গুর, আনার, কমলাসহ হরেক ফল ফলাদি, যার ১ শতাংশও বেগম জিয়া খেতে পারেন না। বেশির ভাগই যায় গুলশানরে অভিজাত ডাস্টবিনে। আর ক্ষুদার জ্বালা মিটানোর জন্য কাজের জন্য রাস্তায় বেরোলেই পেট্রোলবোমায় প্রতিনিয়ত নিহত হন অনেকে। এই পর্যন্ত প্রায় ৭৮ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।এই অমানবিকতার অবসান হবে কি? রণজিত মজুমদার মীর হাজীরবাগ, ঢাকা। সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খুব নাজুক অবস্থায় আছে। আমাদের জানা ভাল স্কুলগুলোর মধ্যে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো অন্যতম অথচ এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অভিভাবক নেই বললেই চলে। কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে ঢিলেঢালাভাবে চলছে। উচ্চপর্যায়ে কোন রকম মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেই। দেখা যায়, কোন কোন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কোন রকমে চলছে। কারও কথা কেউ মানছেন না। বিশেষ করে একাডেমির ক্ষেত্রটা একেবারে নাজুক অবস্থায়। এ ক্ষেত্রটা দেখেন সহকারী প্রধানশিক্ষক। কারণ প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন মিটিং ও প্রশাসনিক কাজ নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত থাকতে হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটা দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকার ফলে একজন সিনিয়র শিক্ষক দিয়ে কোন রকমে দায়সারা দায়িত্ব পালন করা হয়। এতে কারও কথা কেউ শুনছেন না। যার কারণে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। আমরা যারা অভিভাবক আছি, তারা শুধু প্রাইভেট টিউটরের ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে উচ্চপর্যায়ের কোন ধরনের মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় প্রধান শিক্ষকগণ ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ মনে করেন এবং প্রতিনিয়ত দুর্নীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন। কারণ তাঁর কোন ধরনের জবাবদিহিতা নেই। তাই এ ব্যাপারে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সুনজর দেয়া জরুরী। বখতিয়ার হোসেন ছাগলনাইয়া, ফেনী। জনবিরোধী আন্দোলন টানা অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত দেশ। বিপর্যস্ত আজ মানবতা। বার্ন ইউনিটে দগ্ধদের আর্তনাদে আকাশ ভারি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্যেই নির্বাচন দিয়ে সরকার গঠন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ তাই ২০১৫ সালে এসে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস নামে দিনটি পালন করে আর বিএনপি বলছে গণতন্ত্র হত্যা দিবস। সেদিন অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া যে অবরোধ ঘোষণা করেছেন তা এখনও চলছে। যদিও বিএনপির নেতাকর্মীদের তেমন একটা দেখা যায় না রাজপথে। তারা কোথায় জানি উধাও হয়ে যায়। তাদের শুধু দেখা যায় মিডিয়ার পর্দায়। মাঝে মধ্যে দেখা যায় মাঠে জ্বালাও, পোড়ার খবর। আসলে আন্দোলন কি মিডিয়া দিয়ে করা যায়? আন্দোলন করতে হলে রাজপথে থাকতে হবে। সরকার যত দমনপীড়নই করুক, রাজপথে থাকাই সাহসিকতা। গ্রেফতার হলে প্রয়োজনে রাজপথ থেকে হতে হবে। তা না হলে তো তাদেরই পরাজয় বরণ করতে হতে পারে। আন্দোলন কখনও বলে বা ঘোষণা দিয়ে ঠিক করা হয় না। আন্দোলনের জন্য যে কোন মুহূর্তে তৈরি থাকতে হবে। বিএনপি বলছে, দেশের জনগণের সিংহভাগই নাকি তাদের দখলে। তাহলে আন্দোলনের সময় তারা কোথায় থাকে? তারপরও আন্দোলনে দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয়। আসলে আন্দোলনের কথা বলে সাধারণ জনগণের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে মরণ যুদ্ধের। তাদের জন্য সাধারণ জনগণকে দিতে হচ্ছে জীবন। তাদের বাড়ি-গাড়িতে দেয়া হয়েছে আগুন। দুই দলই দাবি করছে, সাধারণ জনগণের জন্যই নাকি আন্দোলন। তাহলে কেন তাদের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে মরণযুদ্ধ? কী ছিল তাদের অপরাধ? তারাই তো ওনাদের এই ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে থাকে। তাহলে তাদের ওপর কেন এত অত্যাচার-নির্যাতন? ভেবে দেখবেন কি? আন্দোলনের নাম দিয়ে সাধারণ জনগণের জীবন নিয়ে খেলবেন না বা পেট্রোলবোমা আর ককটেল দিয়ে তাদের গাড়িতে আগুন দেবেন না। আপনাদের তো অনেক গাড়ি রয়েছে, তা রাস্তায় এনে আগুন দেন, ভাঙেন। মাহবুবুর রহমান সধযধনঁনপঁ৮৩@মসধরষ.পড়স অতীত ভুলিনি আজকাল কেউ কেউ বলছেন, ‘সরকার জনগণের ওপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে তা সর্বকালের সীমা অতিক্রম করেছে।’ আমরা তো বলব, যারা এই কথা বলছেন তাঁরা তো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যা কিছু হয়েছিল, তা বেমালুম ভুলে গেছেন। তারা কী ভুলে গেছেন সেই আমলে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনীতিবিদদের কথায় কথায় জেলে পাঠিয়ে, চালিয়েছিল বর্বরোচিত নিপীড়ন ও নির্যাতন। জেলহত্যাকা- তো বাংলাদেশের ইতিহাসে বড়ই বেদনাদায়ক কাহিনী হয়ে রইল। ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বর হত্যা করা হয়েছিল শত শত সৈনিক ও সাধারণ মানুষকে। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল কর্নেল তাহেরকে। সেই দিনগুলোতে দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশ শাসন চালিয়েছিল তৎকালীন জেনারেল শাসকরা। জনগণ তখন ছিল ক্ষমতাসীনদের নির্যাতনের শিকার আর তাদের বুটের তলায়। কথায় কথায় তারা গুলি চালিয়েছিল জনগণের ওপর। কিন্তু আজ তো এমনটি নেই। কারফিউ দেখি না, দেখি না ১৪৪ ধারা। বরং জনগণ প্রকাশ্যে সরকারের কত না বিরূপ সমালোচনা করে চলছেন। লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা।
×