ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধলাপাহাড়ের মৃত্যু, খাঞ্জেলি দীঘিতে ছয় শ’ বছরের কুমির রাজত্ব শেষ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ধলাপাহাড়ের মৃত্যু, খাঞ্জেলি দীঘিতে ছয় শ’ বছরের কুমির রাজত্ব শেষ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের হযরত খানজাহানের (রহ:) মাজারসংলগ্ন খাঞ্জেলি দিঘির ধলাপাহাড়’ নামে পরিচিত মিঠাপানি প্রজাতির শেষ নারী কুমিরটি মারা গেছে। আর শেষ ‘ধলাপাহাড়ের’ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই দিঘিতে ছয় শ’ বছর ধরে থাকা হযরত খানজাহান আমলের ‘কুমির রাজত্বের’ অবসান ঘটল। বুধবার রাতের কোন এক সময় ধলাপাহাড়ের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাজার খাদেমদের সহযোগিতায় কুমিরটি দিঘি থেকে মাজারের সামনে তোলা হয়। এদিকে ধলাপাহাড়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মৃতদেহ দেখতে হাজার হাজার ভক্ত মাজারে ছুটে আসেন। বৃহস্পতিবার এই মৃত্যুর কারণ জানতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাজারের খাদেমরা জানান, ধলাপাহাড়ের বয়স আনুমানিক এক শ’ বছর। কুমিরটির মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে হযরত খানজাহানের (রহ.) হাতে ছাড়া কুমিরের শেষ বংশধরের জীবনাবসন ঘটল। এই নারী কুমিরটি প্রতি বছর চৈত্র মাসে ডিম পাড়তে দিঘির পারে একটি বাড়ির বাগানে আশ্রয় নিত। এই কুমিরের মৃত্যু কোনভাবে মেনে নিতে পারছেন না খাদেমরা। এটির মৃত্যুর খবরে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কুমিরের বিচরণ অব্যাহত রাখার জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০০৪ সালের ২৬ জুন ভারতের চেন্নাই ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক থেকে এনে একই প্রজাতির ৬টি কুমির অবমুক্ত করা হয়। অবমুক্ত করা কুমিরের মধ্যে দুটি কুমির মারা যায়। দিঘির অবশিষ্ট চার কুমিরের মধ্যে দুটি কুমির সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি ও কুমির প্রজনন কেন্দ্রে রয়েছে।
×