ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

উবাচ

কিসের পরীক্ষা কিসের কী... স্টাফ রিপোর্টার ॥ এত এত পেট্রোলবোমা বাংলাদেশের মানুষ আগে কোন দিন দেখেনি। এভাবে প্রতিদিন দেশে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা বুকভাঙ্গা হাহাকারও ৭১-এর পর দেশবাসী অনুধাবন করেনি। অতীতে রাজনৈতিক সব আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘাত সীমাবদ্ধ থাকলেও এবারই প্রথম নির্মমতার শিকার হচ্ছে সারাধণ মানুষ। যাদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র রাজনীতির যোগাযোগ নেই। খেটে খাওয়া মানুষের হাহাকার রাজনীতিবিদদের কানে যেমন পৌঁছে না, তেমনি পৌঁছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আবেদন নিবেদন। গত সপ্তাহে তারই প্রমাণ দিলেন বিএনপির ভাইস চোরম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ। বিএনপিতে প্রভাবশালী এই নেতা আবার মন্ত্রীও ছিলেন বটে। দেশের প্রতি সাবেক এই মন্ত্রীর উপলব্ধি সকলকে আহত করেছে। ছি ছি শব্দে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন এই মন্ত্রী। সাধারণ মানুষের অনেকেই বলছেন, এ কেমন নেতার হাতে আমরা আমাদের ভাগ্য সঁপে দিয়েছি। এসএসসি পরীক্ষার শুরুতে যখন দেশজুড়ে গুঞ্জন চলছে তখন বিএনপি সপ্তাহ জুড়ে হরতাল দিল। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে কি না এমন আশঙ্কা যখন সকলের মধ্যে তখনই বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতার মুখে এ কি কথা শোনা গেল? তিনি প্রভাবশালী গণমাধ্যম বিবিসি’র সংলাপে বললেন, ‘কিসের পরীক্ষা, কিসের কী? আগে আইনের শাসন দরকার। প্রয়োজনে পরীক্ষা পিছিয়ে দেন।’ তিনি বলেন, বিএনপি ভোটের অধিকারের জন্য লড়ছে। আর আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। সারাদেশে হরতাল অবরোধ ডেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে বসে থাকেন। বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাশকতা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ এই বিএনপি নেতা বলছেন, ‘বল প্রয়োগ করে কখনা সমস্যার সমাধান করা যাবে না। কারণ বিএনপির সঙ্গে জনগণ আছে। কোকের জানাজায় হাজারো মানুষের উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে।’ যদিও জানাজায় আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। খালেদা স্টুপিড লিডার... স্টাফ রিপোর্টার॥ রাবিশ, বোগাস আর স্টুপিড এই তিন শব্দ দেশের মানুষের কাছে ভীষণ পরিচিত। প্রায়ই এগুলোর ব্যবহার করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ক্ষেত্র বিশেষ শব্দগুলোর স্থান কাল পাত্র বদলায় বটে। তবে ব্যবহার হয়ে থাকে মাঝে মধ্যেই। দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী খালেদা জিয়াকে স্টুপিড নেত্রী বলে উল্লেখ করেছেন মুহিত। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সর্বনাশ করেছেন। এভাবে দেশের ভবিষ্যত এগোতে পারে না। তিনি এখন একজন জনবিরোধী। গত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর ২০১৪ সালে দেশ বেশ স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া এসব পছন্দ করছেন না। তিনি দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। ‘স্টুপিড লিডার’ তার কর্মকা- সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিরোধী। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১২তম ঢাকা অন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস মেশিন প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে এখন যা হচ্ছে সেটি সন্ত্রাস। অধিকাংশ মানুষই এটি পছন্দ করেন না। হরতাল-অবরোধ দিয়ে কখনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় না। দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতি করে এমন কার্যক্রম চালানো উচিত নয়। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিএনপির টারজান স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথায় প্রমাণ করেছেন এখনও বড় হননি, তিনি খোকাই রয়ে গেছেন। ছেলেবেলায় খোকারা যা খুশি বলে যায়। এর বাস্তব ভিত্তি থাক বা না থাক তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। কিন্তু তিনি যদি এই নাম নিয়ে বড় হতে হতে বুড়ো হয়ে যান তাহলে বালখিল্যপনায় যে কেউ বলতেই পারে লোকটার পাগলা গারদে ভর্তি হওয়া উচিত। মাত্র ৩০ মিনিটে শহর ঢাকাকে আওয়ামী লীগ মুক্ত করা সংক্রান্ত এক বক্তব্য দিয়ে ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা প্রমাণ করেছেন তিনি এখনও বড় হননি। এখনও তার লেবেনচুষ খেতে খেতে যা খুশি তাই বলতে ইচ্ছা করে। বিএনপির যখন কোন নেতাকর্মীকে মাঠেই দেখা যাচ্ছে না তখন দলের নয়া টারজান খোকা সুদূর মার্কিন মুলুকে বসে আধাঘণ্টার মধ্যে সব ক্লিয়ার করে দেয়ার কথা বলছেন। তাও আবার বাস্তবে তার আসার নেকি কোন দরকার নেই, ফোন কলে নেকি সব হয়ে যাবে। বছরখানেক আগে বিএনপির এই নেতা আমেরিকাতে চিকিৎসার জন্য যান। দলের চরম দুঃসময়ে নগর বিএনপির পাশে এসে না দাঁড়িয়ে খামাখা হাঁক ছাড়ছেন। রবিবার তিনি নিউইয়র্কে বিএনপির মিলন মেলায় বলেন, র‌্যাব-পুলিশ এবং বিজিবি সরকারদলীয় পেটোয়া বাহিনীর পরিবর্তে নিরপেক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে ঢাকা সিটিকে আওয়ামী দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্ক থেকে এজন্য আমাকে সশরীরে ঢাকায় ফেরারও প্রয়োজন হবে না। এই নিউইয়র্ক থেকে একটি টেলিফোনই যথেষ্ট।’ তিনি বলেন, তবে এজন্য র‌্যাব-পুলিশের ‘নিরপেক্ষ’ ভূমিকা লাগবে তার। উল্লেখ্য, এই খোকা কোণঠাসা হতে হতে দলে তার পজিশন পচিয়ে আমেরিকা পাড়ি জমান। দেশে থাকাকালে নগর বিএনপির প্রতাবশালী এই নেতা নিজের পদটি মির্জা আব্বাসের কাছে খুইয়েছেন। খোকার বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি এক সমাবেশে খোকাকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পুলিশ থাকবে না, পারলে আসেন খেলি। সন্ত্রাসীর কাছে হার না- স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীর কাছে সরকার হার মানবে না। মানা উচিতও নয়। সরকার যদি এদের কাছে আত্মসমর্পণ করে তবে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এরপর আওয়ামী লীগ এসে একই কাজ করবে।’ রাজধানীর গাবতলী টার্মিনালের যাত্রী বিশ্রামাগারে মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক পরিবহন নেতা জানান, বৈঠকে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নৌপরিবহনমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকরা বাস চালানোর বিষয়ে মালিকদের বক্তব্য জানতে চান। মালিক-শ্রমিক নেতারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বাস চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর পুলিশী পাহারায় উত্তরবঙ্গের পথে সকাল নয়টা ও রাত নয়টায় দুবার যাত্রীবাহী বাস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি ছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা। আহত-নিহত শ্রমিকদের পরিবারকেও দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান তাঁরা। এ দাবির পর আইজিপি বলেন, চালকদের বলতে হবে, তাঁরা যেন একসঙ্গে গাড়ি ছাড়েন। দেরি করে হলেও একসঙ্গে গাড়ি ছাড়তে হবে। ২০টির বেশি গাড়ি এক বহরে রাখা হবে না। তিনি বলেন, মহাসড়কে কোন ঘটনা ঘটলে ওই এলাকার বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের আসামি করতে হবে। নিরীহ মানুষ মেরে ক্ষমতায় যাবেন, দেশের আইন মানবেন না আর রাজনীতি করবেন, এটা হতে পারে না। সন্ত্রাসীর কাছে সরকার হার মানতে পারে না।
×